পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ এ বার রসায়নশাস্ত্রে নোবেল (NOBEL) পেলেন দু’জন। অধ্যাপক বেঞ্জামিন লিস্ট (Professor Benjamin List) ও অধ্যাপক ডেভিড ম্যাকমিলান(Professor David Macmillan)। পৃথকভাবে কাজ করেছেন আণবিক গঠন নিয়ে। সৌরকোষ থেকে ব্যাটারি স্টোরেজের মতো বিভিন্ন বিষয়ে সেই আণবিক গঠনের প্রভাব কী, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন বেঞ্জামিন লিস্ট এবং ডেভিড ডব্লুউ সি ম্যাকমিলান।
দু’জনেই এমন পথ খুঁজেছিলেন যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে, যেমনটি চাইছি ঠিক সেই ভাবেই দু’টি জৈব অণুর মধ্যে জোড় বাঁধিয়ে কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়াকে নিজেদের ইচ্ছেমতো গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। যাতে চাইলে সেই বিক্রিয়ার গতি বাড়বে। না চাইলে কমানোও যাবে ইচ্ছে মতোই। যে কাজটা প্রকৃতি করে চলে অনায়াসে, অনবরত মানবশরীরে।
মানবশরীরকে বলে দিতে হয় না, শেখাতে পড়াতে হয় না, কখন কোন প্রোটিন বা উৎসেচক প্রয়োজন হবে জীবন-রথের চাকাকে তরতরিয়ে গড়িয়ে নিয়ে যেতে। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, এই কাজটাই যদি আমরা করতে পারি তা হলে তো জীবনদায়ী-সহ যে কোনও ওষুধ তৈরির কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেতে পারে।
রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে জানানো হয়েছে, অণু গঠনের জন্য একটি দুর্দান্ত ‘হাতিয়ার’ তৈরি করেছেন জার্মানির ম্যাক্স-প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের লিস্ট এবং আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যাবয়ের ম্যাকমিলান। সেজন্য এবার তাঁদের রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১.১ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কারমূল্য সমানভাগে ভাগ হবে। সেইসঙ্গে নোবেলের একটি অংশ পাবেন লিস্ট। অপরটি যাবে ম্যাকমিলানের কাছে।
নোবেল জয়ের খবর জানার পর ম্যাকমিলান জানান, তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছেন। ভাবতেও পারেননি যে তিনি নোবেল জিততে পারেন। পরিবারের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে ছুটি কাটানোর সময় সুইডেন থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি এটা (নোবেল জয়) আশাও করিনি।’
অন্যদিকে, লিস্ট জানিয়েছেন, তিনি প্রাথমিকভাবে জানতেন না যে একই বিষয় নিয়ে কাজ করছেন ম্যাকমিলান। এমনকী নিজের কাজের প্রসঙ্গে প্রাথমিকভাবে তাঁর মনে হয়েছিল যে একেবারে বোকামি হচ্ছে। পরে সেই বিষয়টি সাফল্য পেয়েছেন। জার্মান বিজ্ঞানী বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি যে এটায় বড় কিছু হতে পারে।’