২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি, ‘দেশ বাঁচাতে দিল্লিতে চাই জনগণের সরকার,’ একুশে বার্তা দেবে তৃণমূল

- আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 16
পুবের কলম প্রতিবেদক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় জয়ের পর, ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা এবং নির্দেশনার জন্য বাংলার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ২৪ লোকসভা মহারণের আগে এটাই শেষ ২১ জুলাই। লোকসভা ভোটের আগে ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চকে ব্যবহার করে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে তুলোধোনা করতে চান তৃণমূলের নেতারা। একটাই এজেন্ডা, কেন্দ্রে এবার বিজেপি সরকারের বদল হোক। সেই লক্ষ্যেই তোলা হবে শ্লোগান, ‘বিজেপি হটাও, মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও। তৈরি করো জনগণের সরকার।’ কার্যত এই শ্লোগানই বাংলার রাজধানী কলকাতা থেকে দেশের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছে দিতে চায় তৃণমূল।
বিজেপিকে হারানোর জন্য ‘একের বিরুদ্ধে এক’ এই ফর্মুলার কথা প্রথম সামনে আনেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির মাটিতে এই ফর্মুলা যে বাস্তবসম্মত, তা কালক্রমে উপলব্ধি করেছেন দেশের অবিজেপি রাজনৈতিক দলের সকল নেতা-নেত্রীরা। যে কারণে পাটনায় বিরোধী দলের বৈঠকে সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে মহাজোটের রূপরেখা নিয়ে। প্রত্যেকটি রাজ্যে যে রাজনৈতিক দল শক্তিশালী, তাকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিরোধীরা আলাপ-আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। তার নির্যাস যে বেশ খানিকটা সদর্থক, তার প্রমাণ পাটনার পর আজ বেঙ্গালুরুতে মহাজোটের দ্বিতীয় বৈঠক। যেখানে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফর শেষ হওয়ার পরই তৃণমূলের বার্ষিক মেগা কর্মসূচি ২১ জুলাই।
প্রতিবছরই ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের বিপুল সাফল্যের পর এই কর্মসূচি বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে।
ধর্মতলা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে লক্ষ মানুষের যে জমায়েত এতদিন ধর্মতলা দেখে এসেছে, এবার তা রেকর্ড ভাঙবে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
একদিকে মহাজোটের বৈঠক অন্যদিকে একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশ, সবদিক থেকে বিজেপিকে নিশানা করতে নেমে পড়েছে তৃণমূল। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না এই একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে বিদায়ের ডাক দেবেন তৃণমূল নেত্রী।