পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এবার সম্ভল কাণ্ডে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে হেফাজতে নিল যোগী পুলিশ। দায়ের এফআইআর। নাম গুলবুদ্দিন। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা, অস্ত্র ছিনতাই, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং সিসিটিভি নষ্ট করার অভিযোগ এনেছেন তারা। সম্প্রতি শাহিদ তান্ত্রি নামে এক সাংবাদিক একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন।
যাতে গুলবুদ্দিন যে মানসিকভাবে অক্ষম তা বোঝা যাচ্ছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গুলবুদ্দিনকে লোহার চেন দিয়ে একটি সিঁড়িতে বেঁধে রাখা হয়েছে। বাঁধা অবস্থায় সে গুণ গুণ করে গান করছেন। এমনকি মাঝে মাঝে নাচছেন। আর মনের মধ্যেই প্রলাপ করছেন। গুলবুদ্দিনকে বেঁধে রাখার জন্য ব্যবহৃত চেইনটির একটি ছবিও শাহিদ পোস্ট করেছেন। ঘটনাপ্রসঙ্গে গুলবুদ্দিনের ছোট ভাই ফাইজান জানান, আমার ভাই মানসিকভাবে অক্ষম। বাড়ির একটি সিঁড়িতে বেশিরভাগ সময় বেঁধে রাখা হয়।
নিজে থেকে সবকিছু করতে পারেন না। অথচ তাঁর জন্যই নাকি সম্ভলের ঘটনা ঘটেছে? এমনকি যেদিন পুলিশ ওকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল তখন ওহ কাওয়ালি গাইতে শুরু করে। বাইরে ঝামেলার বিষয়ে অজ্ঞাত ছিল সে। কাউকে না জানিয়ে শুধু খেতে বেরিয়েছিল সে। আর তখনই ওকে আটক করে পুলিশ।
এদিন সংশ্লিষ্ট ভিডিয়ো শেয়ার করে জম্মু ও কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) প্রধান মেহবুবা মুফতি জানান, বিজেপি সরকার নিজেদের দোষ ঢাকতে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। নিজেদের ব্যর্থতার দায় নিরীহদের ওপর মেটাচ্ছেন! তাহলে, এখানে আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ কে? বাড়িতে বেঁধে রাখা নিরপরাধ ব্যক্তি নাকি নির্বাচিত বিজেপি সরকার?
যারা নিজেদের নড়বড়ে কুর্সি মজবুদ করতে সমগ্র দেশে ঘৃণা, সহিংসতার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে। চারিদিকে ধর্মের নামে মারামারি, কাটাকাটি। যা আমাদের দেশকে এক অন্ধকার যুগে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।এবং দেশের সামাজিক কাঠামোতে গভীর দাগ ফেলেছে। ভারত একসময় বিশ্বের সবচেয়ে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমানে নামমাত্র ধর্মনিরপেক্ষতার ট্যাগ বহন করে।