পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যতই সময় এগোচ্ছে ততই জটিল হচ্ছে অভিনেত্রী পল্লবী দের মৃত্যু রহস্য। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। এদিকে পল্লবীর বাড়ির পরিচারিকার বয়ান অনুযায়ী পল্লবী বাড়ি না থাকলে দাদা (সাগ্নিক) বাড়িতে অন্য মেয়ে নিয়ে আসত। আর তার পর থেকেই এই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। এই ঘটনায় উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। উঠে এসেছে ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের নাম। সাগ্নিক ঐন্দ্রিলা সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে বলেও তথ্য সামনে এসেছে। এদিকে ঐন্দ্রিলার দাবি, পল্লবী তার বন্ধু ছিল, সাগ্নিকের সঙ্গে সেভাবে কথাবার্তা হত না তার।
পুলিশি তথ্য অনুযায়ী মাসে ১৯-২০ হাজার টাকা রোজগার করতেন সাগ্নিক। তার পরেও বিলাসবহুল গাড়ি, ও শপিং মলে ঘুরে ফিরে বেড়ানো প্রতিদিনই চলত দুজনের। তাহলে এত টাকা কোথা থেকে আসত সেই প্রশ্ন উঠেছে।
পল্লবীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে যখন জট ক্রমশই দানা বাঁধছে তখন সাগ্নিকের প্রাক্তন স্ত্রী সুকন্যা মান্নার বয়ান উল্টো কথাই বলছে। সুকন্যার কথা অনুযায়ী সাগ্নিক তার ছোটবেলার বন্ধু ছিল। তাদের বিয়েতে এসেছিল পল্লবী। সুকন্যার মারফতই পল্লবীর সঙ্গে আলাপ হয় সাগ্নিকের। এর পর দুজনের মধ্যে মেলাশুরু হয়। কিন্তু দুজনকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেও দুজনেই বিষয়টি তার কাছে এড়িয়ে যান। সুকন্যা আরও জানান, এই বিষয়টি তিনি পল্লবীর মাকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু পল্লবীর মা তাকে জানিয়েছিলেন মেয়ে কি করছে সে ব্যাপারে তাকে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। আর এর পর এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন সুকন্যা। সুকন্যা আরও জানান, গত দু-বছর ধরে পল্লবী বা সাগ্নিকের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখেননি তিনি।
এদিকে পল্লবীর বাবার অভিযোগ সাগ্নিক বিবাহিত ছিল তা অনেক পরে জানতে পারে পল্লবী। পল্লবীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে সাগ্নিক। তবে সুকন্যা জানিয়েছেন সাগ্নিক অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে। আগেও দামি গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করত।
সুকন্যা জানিয়েছেন, সেই অনুযায়ী পল্লবীদের অবস্থা সেই রকম কিছু না। পল্লবীর বাবার স্টেশনের পাশে ঝালমুড়ির দোকান আছে। ভাই কিছু কাজ করে না। আর যে ৫৭ লক্ষ টাকার কথা বলা হচ্ছে সে টাকা কোথা থেকে এল? করোনা অতিমারির সময় এত টাকা কোথা থেকে পেল? সাগ্নিকের পয়সাতেই চলত পল্লবীর সংসার।