pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলার তদন্তভার এনআইএ-র কাঁধে

- আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
- / 59
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী (pahalgam Terror Attack) হামলার তদন্তভার এনআইএ-র কাঁধে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে রবিবার সকালে তদন্তভার গ্রহণ করেছে এনআইএ । তবে আগেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসেছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা । প্রাথমিকভাবে তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। হামলার তদন্তে বিশেষ দল গঠন করছে এনআইএ।
বলা বাহুল্য, কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র এই পহেলগাঁও (pahalgam Terror Attack)। তাই এই আক্রমণ একদিকে যেমন দেশের নিরাপত্তার উপরে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, একইভাবে সাধারণ কাশ্মীরিদের জীবন জীবিকার ভবিষ্যতকেও অনিশ্চিত করে দিয়েছে। এই ঘটনা শুধু এক বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী আক্রমণ নয়, বরং বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সংঘর্ষধর্মী গতিপ্রকৃতির প্রতিফলন। ইতিমধ্যেই পহেলগাঁও হামলার পর একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কীভাবে হামলা হল, কোন পথে পালাল জঙ্গিরা? কোন গোপন অ্যাপের মাধ্যমে সংকেত আদান প্রদান চলত, স্থানীয় কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা? এতবড় ঘটনা ঘটে গেল অথচ দেশের সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগ কিছুই জানল না?
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের (pahalgam Terror Attack) বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ২৭ জনকে হত্যা করা হয়। এবং ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পরে এটাই ছিল সবচেয়ে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। এদিকে পহেলগাঁওয়ের হামলার পরদিনই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন এনআইএ-র আধিকারিকরা। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গেই ছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেও কথা বলেছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ঘটনার প্রত্যেক সেকেন্ডের বিবরণ তাঁরা সংগ্রহ করছেন। সম্প্রতি সন্ত্রাসী হানায় নিহত বিতান অধিকারী ও সমীর গুহর বাড়িতে যান এনআইএ-র আধিকারিক। কথা বলেন পরিবারের সঙ্গে। ভিন রাজ্যের বাসিন্দা, যারা জঙ্গি হানায় নিহত হয়েছেন, তাদের সঙ্গে গিয়েও কথা বলেছেন।এনআইএ- এর তদন্তকারী দলে রয়েছেন একজন আইজি, একজন ডিআইজি এবং একজন এসপি।
এছাড়া রয়েছে ফরেন্সিক -সহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরাও। সূত্রের খবর, ভারত ও পাকিস্তানকে নিজ নিজ দিক থেকে সর্বোচ্চ সংযত হওয়ার আর্জি জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ! বলা হয়েছে, ‘দুই দেশকেই খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনরকম যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি তৈরি না হয়। সমস্ত কিছু শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে হবে।