৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অধ্যাদেশ : কর্ণাটকে ধর্মান্তরের শাস্তি ১০বছরের জেল ও জরিমানা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ মে ২০২২, শুক্রবার
  • / 9

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্নাটক সরকার বৃহস্পতিবার ধর্মান্তর বিরোধী বিল কার্যকর করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করছে। অধ্যাদেশ অনুমোদনের জন্য এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসে। বিধানসভা এবং কাউন্সিল স্থগিত হওয়ায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এই পথটি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।‘কর্নাটক প্রোটেকশন অফ রাইট টু ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন’ বিলটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিধানসভায় পাস হয়৷ এটি বিধানসভা পরিষদে মুলতুবি রয়েছে, যেখানে ক্ষমতাসীন বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে এক কম ভোট রয়েছে৷

মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই বলেন,”যেহেতু বিধানসভা এবং কাউন্সিল স্থগিত হয়ে গেছে, আমরা আজ মন্ত্রিসভায় একটি অধ্যাদেশ জারি করার প্রস্তাব রেখেছি।”

অধ্যাদেশের বিষয়ে কর্ণাটকের আইনমন্ত্রী জেসি মধুস্বামী বলেছেন, “আমরা ধর্মান্তর বিরোধী আইনের জন্য অধ্যাদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এটিকে ধর্মান্তর বিরোধী আইন বলব না বরং ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার সুরক্ষা বিল বলব। কোনও সংশোধনী ছাড়াই বিধানসভায় যা পাস হয়েছে তা অধ্যাদেশ হিসেবে তৈরি করা হবে। অদূর ভবিষ্যতে আমরা আর বিধানসভা অধিবেশন দেখছি না, আমরা এটি অন্ধকারে রাখতে চাইনি। এটি কাউন্সিলে পাঠানো হবে।”

এই বিলে বলা হয়েছে বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। এই বিল অনুযায়ী, তপশিলি জাতি, উপজাতি, মহিলা, শিশুদের বলপূর্বক অন্য ধর্মে দীক্ষিত করা হলে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি সাজার পাত্র হবেন। এছাড়াও যদি কাউকে বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ করতে বাধ্য করা হয় সেক্ষেত্রে এই ঘটনার ‘ভিক্টিম’ (যাঁরা অপরাধের শিকার হয়েছেন) পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। তাঁদের ধর্মান্তকরণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এই অর্থ দিতে হবে। অপরাধী একই অপরাধ পুনরায় করলে এই জরিমানার অঙ্ক দ্বিগুণ হবে।

এদিকে এই বিলের বিরোধিতায় রাজ্যের একাধিক এলাকায় প্রতিবাদে সরব হন বিভিন্ন সংগঠন। কর্নাটকের বিজেপি সরকারের আনা এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন একাধিক সংগঠন। তীব্র প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস। কিন্তু, ২০২৩ সালেই কর্নাটকে ভোট। তার আগে এই বিল বিজেপি-কে অক্সিজেন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান ডি কে শিবকুমার সরকারের তাড়াহুড়ো এবং একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ধর্মান্তর বিরোধী বিল পাস করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অধ্যাদেশ : কর্ণাটকে ধর্মান্তরের শাস্তি ১০বছরের জেল ও জরিমানা

আপডেট : ১৩ মে ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্নাটক সরকার বৃহস্পতিবার ধর্মান্তর বিরোধী বিল কার্যকর করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করছে। অধ্যাদেশ অনুমোদনের জন্য এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসে। বিধানসভা এবং কাউন্সিল স্থগিত হওয়ায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এই পথটি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।‘কর্নাটক প্রোটেকশন অফ রাইট টু ফ্রিডম অফ রিলিজিয়ন’ বিলটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিধানসভায় পাস হয়৷ এটি বিধানসভা পরিষদে মুলতুবি রয়েছে, যেখানে ক্ষমতাসীন বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে এক কম ভোট রয়েছে৷

মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই বলেন,”যেহেতু বিধানসভা এবং কাউন্সিল স্থগিত হয়ে গেছে, আমরা আজ মন্ত্রিসভায় একটি অধ্যাদেশ জারি করার প্রস্তাব রেখেছি।”

অধ্যাদেশের বিষয়ে কর্ণাটকের আইনমন্ত্রী জেসি মধুস্বামী বলেছেন, “আমরা ধর্মান্তর বিরোধী আইনের জন্য অধ্যাদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এটিকে ধর্মান্তর বিরোধী আইন বলব না বরং ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার সুরক্ষা বিল বলব। কোনও সংশোধনী ছাড়াই বিধানসভায় যা পাস হয়েছে তা অধ্যাদেশ হিসেবে তৈরি করা হবে। অদূর ভবিষ্যতে আমরা আর বিধানসভা অধিবেশন দেখছি না, আমরা এটি অন্ধকারে রাখতে চাইনি। এটি কাউন্সিলে পাঠানো হবে।”

এই বিলে বলা হয়েছে বলপূর্বক ধর্মান্তকরণের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। এই বিল অনুযায়ী, তপশিলি জাতি, উপজাতি, মহিলা, শিশুদের বলপূর্বক অন্য ধর্মে দীক্ষিত করা হলে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি সাজার পাত্র হবেন। এছাড়াও যদি কাউকে বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ করতে বাধ্য করা হয় সেক্ষেত্রে এই ঘটনার ‘ভিক্টিম’ (যাঁরা অপরাধের শিকার হয়েছেন) পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। তাঁদের ধর্মান্তকরণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এই অর্থ দিতে হবে। অপরাধী একই অপরাধ পুনরায় করলে এই জরিমানার অঙ্ক দ্বিগুণ হবে।

এদিকে এই বিলের বিরোধিতায় রাজ্যের একাধিক এলাকায় প্রতিবাদে সরব হন বিভিন্ন সংগঠন। কর্নাটকের বিজেপি সরকারের আনা এই বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন একাধিক সংগঠন। তীব্র প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস। কিন্তু, ২০২৩ সালেই কর্নাটকে ভোট। তার আগে এই বিল বিজেপি-কে অক্সিজেন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান ডি কে শিবকুমার সরকারের তাড়াহুড়ো এবং একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ধর্মান্তর বিরোধী বিল পাস করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।