৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ইন্ডিয়া’ জোটে আপত্তি! ২৬টি রাজনৈতিক দল ও কমিশনকে নোটিশ হাই কোর্টের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৩, শুক্রবার
  • / 11

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে সমূলে উৎখাত করতে বিরোধীদের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। যেখানে ২৬টি রাজনৈতিক দল এই নয়াজোটের স্ট্র্যাটেজিকে সমর্থন জানিয়েছিল। এবার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ২৬টি রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট।

 

৪ আগস্ট, শুক্রবার এই মামলার বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়ে ২৬টি রাজনৈতিক দল ও কমিশনের কাছে জবাব তলব করলেন প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার ডিভিশন বেঞ্চ। রাজনৈতিক জোটের নাম ইন্ডিয়া রাখা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সমাজকর্মী গিরিশ ভরদ্বাজ। আবেদনে ভরদ্বাজ জানিয়েছিলেন, জোটের নাম হিসেবে বিরোধীদলগুলি আমাদের দেশের নাম ব্যবহার করতে পারে না। এই নামকরণের ২০২৪-এর জন্য ভোটে অশান্তি হতে পারে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। ভারতের প্রতীক ও নাম (অনুচিত ব্যবহার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫০-এর ধারা অনুযায়ী এই ধরণের ক্ষেত্রে ভারতের নাম ব্যবহার করা নিষিদ্ধ বলেও দাবি করেছেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, বিজেপি সরকারকে দেশ থেকে উৎখাতের হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রথমে বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বাসভবনে বৈঠক করে বিরোধী দলগুলি। এর পরে দ্বিতীয় বৈঠক হয় বেঙ্গালুরুতে। সেখানেই জোটের নাম ঠিক হয় ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’ বা সংক্ষেপে ‘ইন্ডিয়া’। এনডিএ বনাম ইন্ডিয়া – অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি তথা এনডিএ জোট ইন্ডিয়া বা ভারত-বিরোধী – এই রাজনৈতিক আখ্যান তৈরির লক্ষ্যেই এই নাম স্থির করেছিল বিরোধী দলগুলি। এই জোটকে জঙ্গি সংগঠনগুলির তুলনা করে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েন মোদি। এদিকে পালটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইন্ডিয়া টিম যখন খেলতে নামে তখন কি কেউ মুজাহিদিন বলে? দেশটার নামই তো ইন্ডিয়া।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘ইন্ডিয়া’ জোটে আপত্তি! ২৬টি রাজনৈতিক দল ও কমিশনকে নোটিশ হাই কোর্টের

আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে সমূলে উৎখাত করতে বিরোধীদের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। যেখানে ২৬টি রাজনৈতিক দল এই নয়াজোটের স্ট্র্যাটেজিকে সমর্থন জানিয়েছিল। এবার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ২৬টি রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট।

 

৪ আগস্ট, শুক্রবার এই মামলার বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়ে ২৬টি রাজনৈতিক দল ও কমিশনের কাছে জবাব তলব করলেন প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার ডিভিশন বেঞ্চ। রাজনৈতিক জোটের নাম ইন্ডিয়া রাখা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সমাজকর্মী গিরিশ ভরদ্বাজ। আবেদনে ভরদ্বাজ জানিয়েছিলেন, জোটের নাম হিসেবে বিরোধীদলগুলি আমাদের দেশের নাম ব্যবহার করতে পারে না। এই নামকরণের ২০২৪-এর জন্য ভোটে অশান্তি হতে পারে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। ভারতের প্রতীক ও নাম (অনুচিত ব্যবহার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫০-এর ধারা অনুযায়ী এই ধরণের ক্ষেত্রে ভারতের নাম ব্যবহার করা নিষিদ্ধ বলেও দাবি করেছেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, বিজেপি সরকারকে দেশ থেকে উৎখাতের হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রথমে বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বাসভবনে বৈঠক করে বিরোধী দলগুলি। এর পরে দ্বিতীয় বৈঠক হয় বেঙ্গালুরুতে। সেখানেই জোটের নাম ঠিক হয় ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’ বা সংক্ষেপে ‘ইন্ডিয়া’। এনডিএ বনাম ইন্ডিয়া – অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি তথা এনডিএ জোট ইন্ডিয়া বা ভারত-বিরোধী – এই রাজনৈতিক আখ্যান তৈরির লক্ষ্যেই এই নাম স্থির করেছিল বিরোধী দলগুলি। এই জোটকে জঙ্গি সংগঠনগুলির তুলনা করে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েন মোদি। এদিকে পালটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইন্ডিয়া টিম যখন খেলতে নামে তখন কি কেউ মুজাহিদিন বলে? দেশটার নামই তো ইন্ডিয়া।’