পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ২০১৯ সালের ১৯ই জুন নিখিল জৈনের সঙ্গে তুরস্কের বোদরুমে রূপকথার বিয়ে সেরেছিলেন নুসরত জাহান। মুগ্ধ হয়ে সেই বিয়ের ঝলক দেখেছিল গোটা বাংলা। এরপর চলতি বছরের শুরুতেই নিখিল-নুসরতের সম্পর্কের তিক্ততা সামনে আসে। গত জুন মাসে বিবৃতি জারি করে বোমা ফাটান নুসরত জাহান। তারকা সাংসদ বলেন, ‘তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে ওই বিয়েটা অবৈধ। তার উপর এটা যেহেতু হিন্দু-মুসলিম বিয়ে সেক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে এই বিয়েতে স্বীকৃতি দরকার। সেটা হয়নি। ফলে এটা বিয়েই নয়’।
নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে অ্যানালমেন্ট অব ম্যারেজের মামলায় জিতে গেলেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী নিখিল জৈন। নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে বিচ্ছেদ চেয়ে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছিলেন নিখিল। কিন্তু আদালতে এক দিনের জন্যেও মুখোমুখি হননি প্রাক্তন দম্পতি।
অ্যানালমেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, নুসরতকে আদালতে গিয়ে বলতে হত নিখিলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক থাকবে না তাঁর। কিন্তু নুসরত সে নিয়ম পালন করেছিলেন কিনা, সে কথা স্পষ্ট নয়।নিখিল বলেছিলেন, ‘‘‘যে দিন জানলাম, নুসরত আমার সঙ্গে থাকতে চায় না , অন্য কারও সঙ্গে থাকতে চায়, সে দিনই দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছি আমি। নুসরতের মা হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নিইনি আমি।’’
এর আগে নিখিলের সঙ্গে বিয়ে প্রসঙ্গে, নুসরত জানিয়েছেন, তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে তাঁদের এই বিয়ে অবৈধ। হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে করা উচিত ছিল। কিন্তু তা তাঁদের হয়নি। ফলত, এটা বিয়েই না। একটি বিবৃতি দিয়ে নায়িকা বলেন,”তুরস্কের বিবাহ বিধি অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠানটি অবৈধ। অপরন্তু, যেহেতু এটি একটি আন্তঃধর্মের বিয়ে ছিল, তাই এটির জন্য বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বৈধতা প্রয়োজন। ভারতে, যা ঘটেনি। আইনত এটি বিয়ে নয়, সম্পর্ক বা লিভ-ইন সম্পর্ক। তাই বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।শোনা গিয়েছে, নুসরত ফের বিয়ে করেছেন যশ দাশগুপ্তকে। তাঁদের সন্তান ঈশানের জন্মের পরেই সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নুসরত। ইনস্টাগ্রামে নানাবিধ ছবি দিয়ে যশকে ‘স্বামী’ সম্বোধন করতেও দেখা গিয়েছিল।