বাম আমলে হয় নি, কবে হবে হাওড়ার কুলিয়া সেতু

- আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার
- / 13
মুহাম্মদ রাকিব, উলুবেড়িয়া: জমি জরিপ থেকে শুরু করে মাটি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে গেছে। কুলিয়া সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য এবার পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে প্রস্তাব রাখলেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল।
হাওড়ার মূল ভূখন্ড থেকে আমতা বিধানসভা এলাকার দীপাঞ্চল ঘোড়াবেড়িয়া চিতনান ও ভাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েতকে যুক্ত করার জন্য বহু বছর ধরে মানুষজন দাবি জানিয়ে আসছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকাবাসীর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনl রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত সেতুর অনুমোদন দেওয়া হয়।
আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন কুলিয়া সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য মন্ত্রীকে বলেছি। কারন এই সেতু সম্পন্ন হলে প্রায় দীপাঞ্চলের ৬০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। একটা সময় রাজনৈতিক নেতাদের মুখে শুধু প্রতিশ্রুতিই শুনেছে হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া চিতনানের বাসিন্দারা। বর্তমান তৃনমূল সরকারের উদ্যেগে হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরাকে মূল ভূখন্ডের সঙ্গে জোড়ার জন্য সেতু নির্মানের অনুমোদন হয়। সেতুটি নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করে।
হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল বলতে মূলত আমতা ২ নম্বর ব্লকের ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া-চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে বোঝায়। কলকাতা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান দ্বীপাঞ্চলের। বর্তমানে প্রায় ষাট হাজার লোকের বসবাস। দ্বীপটি রূপনারায়ণ ও মুন্ডেশ্বরী নদী দ্বারা বেষ্টিত। ফলে মূল ভূখন্ডের সঙ্গে এখানকার বাসিন্দাদের যোগাযোগের মাধ্যম এক সময় ছিল নৌকা। তারপর এইখানে তৈরি বাঁশের সাঁকো। সেই বাঁশের সাঁকো দিয়েই নদী পারাপার করতে হয় দীপাঞ্চলের মানুষদের। আবার ফি বছর বন্যার সময় জলের তোড়ে ভেঙে যায় এই বাঁশের সেতু। যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এই দীপাঞ্চলের বাসিন্দাদের।
যোগাযোগ ব্যবস্হার এই কঠিন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দারা মুন্ডেশ্বরী নদীর উপর একটি পাকা সেতুর দাবি করে আসছিলেন বহু বছর ধরে। ২০০৬ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের সময় কুলিয়া সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছিল। তারপর মুন্ডেশ্বরী নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। তারপর বেশ কয়েকবার নতুন করে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হলেও কাজ এগোয়নি বিন্দু মাত্র। অবশেষে তৃনমূল সরকার সেতু তৈরির অনুমোদন দেয়।
এ প্রসঙ্গে আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন ২০১৮ সালে হাওড়াতে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কুলিয়া সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে সেতু নির্মাণের জন্য এখানে মাটি পরীক্ষা করা হয় এবং ডি পি আর তৈরি করা হয়। সেতু নির্মাণের আগের সব অনুসঙ্গ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কাজ শুরু হবে।