পুবের কলম প্রতিবেদকঃ দ্বন্দ্ব-বিতর্ক-জল্পনা অনেকটাই মাত্র একটি বৈঠকেই ইতি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নির্ধারণ করতে গিয়ে এক ঝাপটায় সকলকেই পদ করে দিয়েছিলেন মমতা। এবার আবার ঘর গোছানোর পালা শুক্রবার বিকেল তিনটে কালীঘাটে বসছে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। রাজনৈতিক মহলের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, আবার পুরনো সাধারণ সম্পাদকের পদ ফিরে পান কিনা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সত্যি কথা বলতে কি রাজনৈতিক মহলে কালীঘাট বনাম ক্যামাক স্ট্রিটের দ্বন্দ্ব তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিল বিরোধীরা। কিন্তু তারা আন্দাজও করতে পারেননি, মাত্র একটি বৈঠকে এসব হইচই থামিয়ে দিতে পারেন মমতা হয়েছেও তাই। এখন তৃণমূল কংগ্রেস এক সম্মিলিত শক্তি। ভিতর যাই থাকুক প্রকাশ্যে অথবা মিডিয়ায় এই নিয়ে কোন আলোচনাই নেই। এবার নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেবেন দলনেত্রী। আগের বৈঠকে যেভাবে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের বাছতে গিযেü মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী এবং প্রবীন নেতাদের প্রতি আস্থা দেখিয়েছিল দল তাতে সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব আবার এককভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ছেড়ে দেন কিনা তাই এখন দেখার। নাকি এই পদ বিতরণ করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অন্য কোনও প্রবীণ সহকর্মীকে অভিষেকের সঙ্গে জুড়ে দেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছে।
এদিকে বাকি ১০৮ পুরসভায় তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার যখন সপ্তমে। ঠিক তখন নির্দল হয়ে দাঁড়ানো তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। দলীয় সূত্রে খবর, যদিও এখন নতুন করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ নেই, তবুও তৃণমূল কংগ্রেসে থাকা নির্দল প্রার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। এই নির্দেশের বিচ্যুতি হলেই দলের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যারা দলকে উপেক্ষা করে করবে তাদের বহিষ্কৃত করতেও দ্বিধা করবে না দল। এমনকী বহিষ্কৃতরা নির্বাচনে জিতলেও তাদের দলে ফেরানো হবে না।