৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানাই চিন্তার কারণ সিইও এবং রাজ্য প্রশাসনের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 5

পুবের কলম প্রতিবেদক: জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানাই এখন চিন্তার সবথেকে বড় ভাঁজ ফেলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এবং রাজ্য প্রশাসনের কপালে। তার কারণ কয়েকদিন আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসার আগে যেন অতি অবশ্যই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানাকে শূন্যতে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক গত শুক্রবার রাজ্যের সব জেলাশাসক পুলিশ সুপার এবং নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করে উক্ত নির্দেশকে কার্যকর করতে বলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। যে মুহূর্তে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তখন সংখ্যাটা ছিল লক্ষাধিক যা এই মুহূর্তে অর্ধেকের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, হাতে মাত্র আর কয়েকটা ঘন্টা তারপরই রাজ্যে এসে পৌঁছাবে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন, আদপে কি এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে শূন্যতে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর এবং রাজ্য প্রশাসন?

 

প্রসঙ্গত, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার অনেক আগেই রাজ্যে একদিকে এসে পৌঁছাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খুব স্বাভাবিকভাবেই উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতেই প্রথমে তাদেরকে মোতায়েন করা হবে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলাকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তারপরেও কমিশনের নির্দেশকে নির্বাচনের আগেও পালন করতে সম্ভব হবে কি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর এবং রাজ্য প্রশাসন? জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগেই পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে পার করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়েই এগোনো হবে। এখন দেখার বিষয় শুধু একটাই, শেষ হাসি কে হাসবে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানাই চিন্তার কারণ সিইও এবং রাজ্য প্রশাসনের

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানাই এখন চিন্তার সবথেকে বড় ভাঁজ ফেলেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর এবং রাজ্য প্রশাসনের কপালে। তার কারণ কয়েকদিন আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আসার আগে যেন অতি অবশ্যই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানাকে শূন্যতে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক গত শুক্রবার রাজ্যের সব জেলাশাসক পুলিশ সুপার এবং নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করে উক্ত নির্দেশকে কার্যকর করতে বলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। যে মুহূর্তে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তখন সংখ্যাটা ছিল লক্ষাধিক যা এই মুহূর্তে অর্ধেকের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। এদিকে, হাতে মাত্র আর কয়েকটা ঘন্টা তারপরই রাজ্যে এসে পৌঁছাবে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন, আদপে কি এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে শূন্যতে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর এবং রাজ্য প্রশাসন?

 

প্রসঙ্গত, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার অনেক আগেই রাজ্যে একদিকে এসে পৌঁছাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খুব স্বাভাবিকভাবেই উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাতেই প্রথমে তাদেরকে মোতায়েন করা হবে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলাকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তারপরেও কমিশনের নির্দেশকে নির্বাচনের আগেও পালন করতে সম্ভব হবে কি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর এবং রাজ্য প্রশাসন? জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগেই পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে পার করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়েই এগোনো হবে। এখন দেখার বিষয় শুধু একটাই, শেষ হাসি কে হাসবে।