পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাস্তায় বাস কম। করোনা আবহের রেশ কিছুটা কাটিয়ে কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও অমিল বাস। ফলে শিকেয় বিধিনিষেধ। একটা বাসেই গাদাগাদি করে ফিরতে হচ্ছে অফিস যাত্রীদের।
এদিকে বাংলায় স্কুল, কলেজে খুলেছে। অফলাইনে পড়াশোনা শুরু হয়েছে। এদিকে রাস্তায় কম। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, একে রাস্তায় বাস নেই, তা পরে বাস মালিকরা রাস্তায় যে বাসগুলি নামিয়েছে সেগুলি বেশিরভাগই অকেজো। এদিকে বাস মালিকদের যুক্তি, অনেক অসুবিধের মধ্যে দিয়ে তাদের রাস্তা বাস নামাত হচ্ছে। তাদের বাস সারাই করার জন্য ন্যূনতম টাকার যোগান নেই। তাই পরিত্যক্ত বাস চালানো ছাড়া তাদের আর কোনও উপায় নেই।
রাজ্যের পরিবহন দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী ফিটনেসের বৈধ সার্টিফিকেট ছাড়াই কলকাতার রাস্তা চলছে ১৪৬৪ গুলি বাস। ইতিমধ্যেই সেগুলি রাজ্যের নজরে এসেছে। ফিটনেসের বৈধ শংসাপত্র ছাড়াই কলকাতায় সরকারি যানবাহনের সংখ্যা ১০,৮১৮। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বৈধ ফিটনেসের সার্টিফিকেট ছাড়া গোটা কলকাতাজুড়ে সরকারি বাসের সংখ্যা ১৪৬৪, ট্যাক্সি ৬৭৭৬, অটোরিকশা ২৫৭৮। পরিবহণ দফতরের সূত্রে খবর, বেলতলা, বেহালা, কসবা ও সল্টলেকে আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসের (আরটিও) রেকর্ডের তালিকা ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বরের বিশদ বিবরণ সহ তালিকাটি সিটি পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে। বৈধ ফিটনেস শংসাপত্র ছাড়া চালানোর জন্য একটি গাড়ির জরিমানা সম্প্রতি ৫, হাজার থেকে দ্বিগুণ করে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে৷ইতিমধ্যেই পুলিশ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অতিরিক্ত কড়াকড়ি শুরু করেছে। বৈধ নথি না দেখাতে পারায় পুলিশ ১১৮টি বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ফিটনেস সার্টিফিকেট রিনিউ করতে সরকারকে দিতে হয় ৮০০ টাকা। এক বাস মালিকের কথায়, রাস্তায় একটি বাসকে ভালোভাবে সুস্থতার সার্টিফিকেট দিয়ে নামাতে হলে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ আছে। তাই এই পরিস্থিতিতে আমার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। সেই কারণে আমি রাস্তায় বাস নামাচ্ছি না।