২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পহেলগাঁও: প্রধান সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ, ভিডিয়ো রেকর্ডে অন্য গন্ধ পাচ্ছে এনআইএ

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 35

নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। গোটা হামলার ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেছিল স্থানীয় এক যুবক। তাকেই এবার প্রধান সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এনআইএ। তদন্তকারীদের দাবি, হামলার সময় ঘটনাস্থলে অনেক ফটোগ্রাফার ছিলেন। তারা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু স্থানীয় যুবক গোটা হামলার ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করে। ওই যুবক গোটা ঘটনাটির ভিডিয়ো রেকর্ড করে। সূত্রের খবর, হামলা চলাকালীন কীভাবে গোটা ভিডিয়ো রেকর্ড করা সম্ভব হল! অন্য ফটোগ্রাফাররা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেলেও তিনি সুরক্ষিত ভাবে কীভাবে দীর্ঘক্ষণ ক্যামেরা তা করেছে! এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা। জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিয়ো রেকর্ড নিয়ে অন্য গন্ধ পাচ্ছে তদন্তকারীরা। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা! তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। এনআইএ জানিয়েছে, ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ওজিডাব্লু-গুলি সনাক্ত করতে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, চার জঙ্গি দুটি দলে বিভক্ত হয়ে তৃণভূমির দু’পাশ থেকে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই জঙ্গি ওই এলাকায় খাবারের দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে খাবার বিক্রি করছিল। দুপুর আড়াইটে নাগাদ দোকানের পিছনে লুকিয়ে থাকা দুই জঙ্গি বেরিয়ে আসে। তারপর তারা পর্যটকদের জিজ্ঞাসা করেছিল যে তারা কোন ধর্মের। কাউকে কাউকে কলমা পাঠ করতে বলা হয়েছিল। যারা কলমা পাঠ করতে পারেননি, তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকেই এনআইএ মনে করছে, হামলা এলোপাথাড়ি ছিল না। বিশেষ কিছু মানুষকে টার্গেট করে পুরো হামলাটি চালানো হয়। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেছেন, “জঙ্গিরা বিশেষভাবে কিছু মানুষকে চিহ্নিত করেছিল। গুলি করতে পর্যটকদের মাথাকে লক্ষ্য করা হয়েছিল।”

এনআইএ সূত্রে খবর, হামলা সম্পূর্ণ করে দু’টি মোবাইল নিয়ে যায় জঙ্গিরা। একটি মোবাইল পর্যটকের অন্যটি স্থানীয় এক বাসিন্দার। ওই মোবাইল দু’টিকে কাজে লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে তদন্তকারীরা। জঙ্গিরা বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে, সে সমস্ত তথ্য পেতে মোবাইল দুটি সাহায্য করবে বলেই মনে করছে তদন্তকারীরা। এমনকি একে-৪৭ এবং এম-৪ রাইফেল থেকে ব্যবহৃত কার্তুজও বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, “আফগান যুদ্ধের পর থেকে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা এম৪এস ব্যবহার করে আসছে। ফলে এই হামলার পেছনে কে বা কারা রয়েছে! তার অতিরিক্ত প্রমাণ এটি।”

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পহেলগাঁও: প্রধান সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ, ভিডিয়ো রেকর্ডে অন্য গন্ধ পাচ্ছে এনআইএ

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার

নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। গোটা হামলার ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেছিল স্থানীয় এক যুবক। তাকেই এবার প্রধান সাক্ষী হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এনআইএ। তদন্তকারীদের দাবি, হামলার সময় ঘটনাস্থলে অনেক ফটোগ্রাফার ছিলেন। তারা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু স্থানীয় যুবক গোটা হামলার ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করে। ওই যুবক গোটা ঘটনাটির ভিডিয়ো রেকর্ড করে। সূত্রের খবর, হামলা চলাকালীন কীভাবে গোটা ভিডিয়ো রেকর্ড করা সম্ভব হল! অন্য ফটোগ্রাফাররা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেলেও তিনি সুরক্ষিত ভাবে কীভাবে দীর্ঘক্ষণ ক্যামেরা তা করেছে! এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা। জাতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিয়ো রেকর্ড নিয়ে অন্য গন্ধ পাচ্ছে তদন্তকারীরা। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা! তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। এনআইএ জানিয়েছে, ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ওজিডাব্লু-গুলি সনাক্ত করতে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, চার জঙ্গি দুটি দলে বিভক্ত হয়ে তৃণভূমির দু’পাশ থেকে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই জঙ্গি ওই এলাকায় খাবারের দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে খাবার বিক্রি করছিল। দুপুর আড়াইটে নাগাদ দোকানের পিছনে লুকিয়ে থাকা দুই জঙ্গি বেরিয়ে আসে। তারপর তারা পর্যটকদের জিজ্ঞাসা করেছিল যে তারা কোন ধর্মের। কাউকে কাউকে কলমা পাঠ করতে বলা হয়েছিল। যারা কলমা পাঠ করতে পারেননি, তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকেই এনআইএ মনে করছে, হামলা এলোপাথাড়ি ছিল না। বিশেষ কিছু মানুষকে টার্গেট করে পুরো হামলাটি চালানো হয়। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেছেন, “জঙ্গিরা বিশেষভাবে কিছু মানুষকে চিহ্নিত করেছিল। গুলি করতে পর্যটকদের মাথাকে লক্ষ্য করা হয়েছিল।”

এনআইএ সূত্রে খবর, হামলা সম্পূর্ণ করে দু’টি মোবাইল নিয়ে যায় জঙ্গিরা। একটি মোবাইল পর্যটকের অন্যটি স্থানীয় এক বাসিন্দার। ওই মোবাইল দু’টিকে কাজে লাগিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে তদন্তকারীরা। জঙ্গিরা বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে, সে সমস্ত তথ্য পেতে মোবাইল দুটি সাহায্য করবে বলেই মনে করছে তদন্তকারীরা। এমনকি একে-৪৭ এবং এম-৪ রাইফেল থেকে ব্যবহৃত কার্তুজও বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, “আফগান যুদ্ধের পর থেকে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা এম৪এস ব্যবহার করে আসছে। ফলে এই হামলার পেছনে কে বা কারা রয়েছে! তার অতিরিক্ত প্রমাণ এটি।”