ইমামা খাতুন প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
বিশেষ প্রতিবেদন: আমেরিকার পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে নির্বাচনী সমাবেশে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছেন দেশটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বন্দুকবাজের গুলি ডান কানে লাগে তার। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে আমেরিকার বন্দুক সহিংসতার চিত্র। জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে দেশটিতে ৩০০ বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে প্রায় ৪০০ জন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শিকাগো শহরতলির তিনটি ভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে গুলি চালিয়ে ৮ জনকে হত্যা করে এক বন্দুকধারী। এ বছর মার্কিন মুলুকে বন্দুক হামলার অন্যতম প্রথম বড় ঘটনা ছিল সেটি। তবে সেই শুরু বা শেষ নয়। বন্দুক সহিংসতার ঘটনা আমেরিকায় নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী তথা দেশটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপরও হামলা হয়েছে, তাও আবার ভরা জনসভায়। ঘটনায় একজন দর্শকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা যেন মার্কিন ‘গান কালচারের’ একটি উদাহরণ মাত্র। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আমেরিকায় ৩০২টি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে ৩৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১,২১৬ জন। জুলাই মাসে ট্রাম্পের ওপর এই হামলার ঘটনাসহ মোট ৩৪টি ‘গণগুলির’ ঘটনা ঘটেছে আমেরিকায়। জুলাইয়ের ঘটনাগুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩২ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলাটি হয়েছিল কেন্টাকির ফ্লোরেন্সে। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫ জন। এদিকে গত ১০ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার আলামেডায় এক বন্দুকধারীর হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। চলতি বছরের ১৩ জুলাই পর্যন্ত বন্দুক সহিংসতায় সরকারি হিসাবে আমেরিকায় নিহত হয়েছে ৪২২ জন।
প্রসঙ্গত, আমেরিকায় প্রায়ই বন্দুক সহিংসতার ঘটনা সামনে আসে। প্রতিবছরই বন্দুকবাজের হামলায় কয়েকশ’ মানুষের মৃত্যু হয় মার্কিন মুলুকে। গত বছরের ২৫ অক্টোবর আমেরিকার মেইন প্রদেশের ছোট্ট শহর লেউইস্টনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছিল ১৮ জন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিসিসিপিতে গোলাগুলির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের। একই বছরের জানুয়ারি মাসে একই দিনে তিনটি পৃথক ঘটনায় তিনটি শহরে ৮ জন নিহত হয়েছিল আমেরিকায়।