Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

বাণিজ্যে আধিপত্য  হারাচ্ছে মার্কিন ডলার


ইমামা খাতুন   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম

বাণিজ্যে আধিপত্য  হারাচ্ছে মার্কিন ডলার

বিশেষ প্রতিবেদন: একতরফা মার্কিন নীতির মোকাবিলায় নানা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইরান ও রাশিয়ার লেনদেন থেকে ডলার বাদ দেওয়া হয়েছে। ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে সব ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে ইরানের সংসদ স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কলিবাফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একপেশে নীতির কারণেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের আধিপত্য কমানোর চেষ্টা করছে অনেক দেশ। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা দেশগুলো ডলারের আধিপত্যের কারণে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। তাই অনেক দেশই ডলারের বদলে স্থানীয় অথবা অন্য কোনও দেশের মুদ্রা ব্যবহারে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের কবল থেকে মুক্ত হতে নানা অর্থনৈতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গেরাশিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরঘিজিস্তান ও আর্মেনিয়াকে নিয়ে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের কথা উল্লেখ করা যায়। মোলদোভা ও কিউবা এরইমধ্যে এই সংস্থার পর্যবেক্ষক সদস্য হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির ওপর পাশ্চাত্যের একচ্ছত্র আধিপত্য মোকাবিলার লক্ষ্যে রাশিয়ার নেতৃত্বে যেসব অর্থনৈতিক সংস্থা গঠিত হয়েছে এটি তার অন্যতম। এছাড়া আরও দু'টি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হল সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ও ব্রিকস। বিশ্ববাজারে মার্কিন ডলারের প্রভাব খর্ব করার লক্ষ্যে বর্তমানে একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু করার কথা ভাবছে ব্রিকস। বর্তমানে রাশিয়া এবং চিন তাদের বাণিজ্যিক লেনদেনের প্রায় ৭০ শতাংশই সম্পন্ন করছে নিজস্ব মুদ্রা দিয়ে। লাতিন আমেরিকার ব্রাজিল এবং আফ্রিকা মহাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকা ডলারের বিকল্প মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেনের পক্ষে। রাশিয়া ও ইরান বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলারকে বাদ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল জানায়, বিশ্বে ডলারে রিজার্ভ রাখার প্রবণতা কমছে। ২০০৩ সালে এটি ছিল ৬৬ শতাংশ, আর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা কমে ৫৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেছেন, ডলারের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর তৎপরতা আগের চেয়ে বেড়েছে। কারণ বিভিন্ন দেশ মার্কিন ডলারের ওপর তাদের অর্থনৈতিক নির্ভরতার ইতি টানতে চায়। বিভিন্ন দেশের ওপর আর্থিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মার্কিন নীতি এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। আমেরিকার ব্যাঙ্কিং বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল হার্টনেট সতর্ক করে বলেছেন, ‘ডলারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পরিণতি ভালো হবে না।’