Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

অক্সফোর্ড পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কলার হিসেবে বিশ্বস্বীকৃতি পতাকা গোষ্ঠীর শরিফের


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:৫৪ এএম

অক্সফোর্ড পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কলার হিসেবে বিশ্বস্বীকৃতি পতাকা গোষ্ঠীর শরিফের
অক্সফোর্ডে শরিফ হোসেন, পিতা মোস্তাক হোসেন, মা সানোয়ারা হোসেন ও স্ত্রী সানজিদা জিনাত। ৬ জুলাই, ২০২৪ স্বীকৃতি প্রাপ্তির দিন।

 

 

পুবের কলম প্রতিবেদক: ইউনাইটেড কিংডম বা ইউকে-র অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বা ছাত্রী হিসেবে স্থান পাওয়াই এক মর্যাদার বিষয়। 

৬ জুলাই, ২০২৪ তাই শিল্পপতি ও পতাকা গ্রুপের কর্ণধার মোস্তাক হোসেন-এর জন্য এক গর্বের দিন। আর সেইসঙ্গে গৌরবের দিন বাংলার জন্যও। 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে ৬ জুলাই মোস্তাক হোসেনের পুত্র শরিফ হোসেন অক্সফোর্ড পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কলার হলেন ডিস্টিংকশন নিয়ে। এই স্বীকৃতি কোনও সহজ বিষয় ছিল না। অক্সফোর্ড ৩৫টি দেশ থেকে বিশ্বের ৫৫ জন লিডারকে এজন্য নির্বাচন করে নিয়েছিল। এতে শামিল ছিল অস্ট্রেলিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং হংকং থেকে সাউথ আফ্রিকার প্রার্থীরা। কঠিন পদ্ধতির মাধ্যমে তাঁদেরকে বাছাই করা হয়েছিল। 

 

 

এক বছরের কঠোর মেহনত ও বুদ্ধিবৃত্তিক সফর পার হয়ে শরিফ হোসেন অক্সফোর্ড পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কলার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। এই স্বীকৃতি পেয়েছেন ডিস্টিংকশন নিয়ে। আর ৩৫টি দেশের ৩৫ জন তরুণ নেতার মধ্যে বাংলার শরিফ হোসেন নিজের মেধা ও মেহনতের স্বীকৃতি আদায় করে নিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আর শরিফ ছিলেন এই লিডারশিপের পরীক্ষায় সবথেকে তরুণদের একজন। 

শরিফ বিশ্বের বিভিন্ন শ্রেষ্ঠ কোম্পানিগুলির সঙ্গে এক প্ল্যাটফর্ম থেকে গ্রামীণ বিকাশ শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী পতাকা হাউসের জন্য এই বিরল সম্মান হাসিল করেছেন। মনে রাখতে হবে, এই একই প্ল্যাটফর্ম থেকে গুগল (সফটওয়্যার জায়ান্ট), ইন্টারটেক (মেশিনারি জায়ান্ট), লুরপাক (ডেয়ারি জায়ান্ট)-এর মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে শরিফ পতাকা হাউসের গ্রামীণ বিকাশ শিল্পের জন্য এই মর্যাদা আদায় করে নিয়েছেন।

অক্সফোর্ডের এই প্রোগ্রামটি ছিল এক বছরের ইন্টেনসিভ পোস্টগ্র্যাজুয়েট যা ছিল সরকারি বা বেসরকারি ক্ষেত্রের শীর্ষ লিডারদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ৫৫ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে হাতেগোনা মাত্র কয়েকজনই ডিস্টিংকশন অর্জন করতে পেরেছে। 

৬ জুলাই, ২০২৪ এই দিনটি ছিল শরিফ হোসেন এবং তাঁর পিতা মোস্তাক হোসেন ও মা সানোয়ারা হোসেন-এর জন্য প্রকৃতই গর্বের দিন। গর্বের দিন পুরো পতাকা পরিবারের জন্য। কারণ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ধরনের কৃতিত্বের স্বীকৃতি কোনও সহজ বিষয় নয়। সত্যি বলতে কী, এর আগে কোনও বাঙালি মুসলিম কিংবা পশ্চিমবাংলার কেউ এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, অনেক অনুসন্ধান করেও তার কোনও নজির পাওয়া যায়নি। 

শরিফ হোসেন বাংলার দ্বিতীয় হাজী মুহাম্মদ মহসিন বলে পরিচিত মোস্তাক হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তাঁর পড়াশোনা শুরু কলকাতার সেন্ট জেমস স্কুল থেকে। এরপর শরিফ লিভরপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যাচেলার ডিগ্রি লাভ করেন। ওয়ারিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্ট্র্যাটেজি এবং মার্কেটিং-এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

তারপর তিনি গবেষণায় মাস্টার্স করেন লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও। তাঁর এই সম্মান অর্জনের দিন অক্সফোর্ডে উপস্থিত ছিলেন তাঁর পিতা মোস্তাক হোসেন, মা সানোয়ারা হোসেন ও স্ত্রী সানজিদা জিনাত। পুত্র শরিফের এই বিরল সম্মান প্রাপ্তির সাক্ষী থাকলেন তাঁরাও। 

পতাকা গ্রুপের একজন অন্যতম ডাইরেক্টর শরিফ হোসেনের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক দায়িত্ববোধ পালনে সবাইকে অনুপ্রাণিত করা। ইতিমধ্যেই তিনি বিজনেস লিডার ও শিক্ষার প্রসারে এক অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।