Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

রাজ্যপালের ছেলের গুন্ডাগিরি: রাজভবনের কর্মীকে মারধর-নিগৃহ করে জুতো চাটতে বাধ্য করা হল


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:২৩ এএম

রাজ্যপালের ছেলের গুন্ডাগিরি: রাজভবনের কর্মীকে মারধর-নিগৃহ করে জুতো চাটতে বাধ্য করা হল

ভুবনেশ্বর, ১৩ জুলাই: বাংলার পর ওড়িশা। ভুবনেশ্বর রাজভবনের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্যপালের ছেলের বিরুদ্ধে। রাজভবনের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার (এএসও) কে মারধর করেছেন রাজ্যপাল রঘুবর দাসের ছেলে ললিত কুমার বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীত সরকারি কর্মী। ঘটনাটি ৭ জুলাই রাতের।

সংসদ বিষয়ক বিভাগের এএসও বৈকুণ্ঠনাথ প্রধান অভিযোগ করে বলেছেন, রাজ্যপালের ছেলে ও তার দুই পিএসও সহ অনেকজন বন্ধু তাঁকে মারধর করেছেন। তাকে জুতো চাটতে এবং থুতু চাটতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি পালানোর চেষ্টা করলে তাকে হত্যার হুমকিও দেয়। জানা গিয়েছে, বৈকুণ্ঠনাথ প্রধান একজন প্রাক্তন সেনাকর্মী। গত তিন বছর ধরে রাজ্যপালের বাড়িতে সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান, এই ঘটনার পর তিনি রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শাশ্বত মিশ্রের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর পরামর্শে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন।

গত ৭ জুলাই রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ এএসও অফিসে ছিলেন। তখন রাজ্যপালের ব্যক্তিগত রাঁধুনি এসে বৈকুণ্ঠনাথ প্রধান বলেন যে কুমার তাঁর সাথে দেখা করতে চান। প্রধানের অভিযোগ, "আমি যখন ৪ নম্বর স্যুইটে পৌঁছাই, তখন তারা রেলস্টেশনে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি না পাঠানোর জন্য আমাকে তিরস্কার করে এবং গালিগালাজ শুরু করে। আমি আপত্তি জানালে তারা আমাকে মারধর করে।" তাঁর আরও অভিযোগ, তিনি ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের পিছনে লুকিয়ে পড়েন। কিন্তু কুমারের দু'জন পিএসও তাঁকে আবার স্যুইটে টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁর মুখে, শরীরে ঘুষি মারতে শুরু করেন। এমনকি তাঁর বাম পায়ের গোড়ালি ভেঙে দেয়।

এই ঘটনার পর রাজভবনে অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বৈকুণ্ঠনাথ প্রধান বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাই তিনি ন্যায়বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে প্রধানের স্ত্রী সাজোজা কুমারী প্রধান শুক্রবার বলেন, তাঁর স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে। তারা এ বিষয়ে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।