Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

সংখ্যালঘুদের শিক্ষার মান উন্নয়নে সকলকেই উদ্যোগ নিতে হবে: ইমরান


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:১২ এএম

সংখ্যালঘুদের শিক্ষার মান উন্নয়নে সকলকেই উদ্যোগ নিতে হবে: ইমরান

 

                                    মেদিনীপুরে মাইনোরিটি কমিশনের বৈঠক

পুবের কলম প্রতিবেদক:  মেদিনীপুর: জেলার সংখ্যালঘুদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুরে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান। সঙ্গে বিভাগীয় আরও অন্যান্য আধিকারিকরা ছিলেন। বুধবার বেলা এগারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত দু-দফাতে বৈঠক করেন তারা। প্রথম দফায় বিভিন্ন সংখ্যালঘু শ্রেণীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যাগুলি শুনে নেন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ আধিকারিকরা। দ্বিতীয় দফায় জেলার সমস্ত মন্ত্রী, বিধায়ক, পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারসহ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।


 

 

 

 প্রথম দফার বৈঠকে মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট চত্বরে এস এইচ জি বিল্ডিং-এ মতবিনিময় পর্ব হয়। যেখানে মুসলিম খ্রিস্টান বৌদ্ধ জৈন-এর মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রায় একশো জনের বেশি প্রতিনিধি এই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেন সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরানসহ উপস্থিত আধিকারিকরা। প্রতিটি সম্প্রদায় নিজ এলাকার, নিজের সম্প্রদায়ের সমস্যাগুলি তুলে ধরেন বক্তব্যে। সমাধানের আর্জি রাখেন। কী উন্নয়ন প্রয়োজন সে সমস্ত আবেদন করেছেন চেয়ারম্যানের কাছে। অন্যদিকে আবেদনকারীদের নাম ঠিকানা ও আবেদন লিপিবদ্ধ করেছেন চেয়ারম্যানসহ আধিকারিকরা। বেলা ১১টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত এই পর্ব চলে। এর পরবর্তী বৈঠক শুরু হয় ওই একই বিল্ডিংয়ে একই স্থানে জেলার সমস্ত মন্ত্রী, বিধায়ক পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে।

 বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া জানান, এতদিন সংখ্যালঘু বিষয়ক তৎপরতা খুব একটা ছিল না। এবার তৎপরতা বাড়াতে হবে কারণ কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। তিনি সব রকম উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলে আপনাদের সকলকেই তৎপর হতে হবে। সেটা প্রশাসনিক আধিকারিক কিংবা জন প্রতিনিধির সকলকেই সমভাবে অংশ নিয়ে এগোতে হবে। 

 একইভাবে বক্তব্য রেখেছেন উপস্থিত বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, অন্যান্য মন্ত্রী আধিকারিকরা। মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া ছাড়াও যেখানে ছিলেন মন্ত্রী শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাতো, জেলার বিভিন্ন বিধায়কগণ। সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে বক্তব্য রেখেছেন জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারও।

 এদিন এই বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান বলেন, এতদিন যে উদ্যোগ ছিল সেই উদ্যোগে তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টাতে বেশি গুরুত্ব দিতে বলেছেন। বরাদ্দও করছেন। তাই সর্বাগ্রে সংখ্যালঘুদের শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে। এজন্য জনপ্রতিনিধিদের ব্লকে ব্লকে সচেতনতা বাড়াতে সভা করতে হবে সংখ্যালঘুদের নিয়ে। সংখ্যালঘুরা শিক্ষার ক্ষেত্রে যাতে পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা যেমন পদক্ষেপ নেবেন, তেমনি মহাকুমা শাসক, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সকলেই সক্রিয়ভাবে বিষয়টাতে মনোযোগ দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি ত্বরান্বিত করবেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করব এই বিষয়গুলিতে। গ্রামীন এলাকায় সংখ্যালঘুরা কোনোভাবেই যাতে শিক্ষায় পিছিয়ে না পড়ে সেদিকে সকলকেই নজর দিতে হবে।