Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

পক্ষাঘাতে আক্রান্ত স্বামীকে সামনে রেখে, দোকান ভাঙা রুখলেন গৃহবধূ


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম

পক্ষাঘাতে আক্রান্ত স্বামীকে সামনে রেখে, দোকান ভাঙা রুখলেন গৃহবধূ

 

 

 

দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট:  বছর পাঁচেক আগে স্বামীর স্ট্রোক হয়। পক্ষাঘাতে গোটা শরীর বিবশ হয়ে পড়ে স্বামী রবীন্দ্রনাথ শর্মার(৪৫)। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে গৃহবধূ লক্ষ্মীর। একদিকে সংসারের খরচ, স্বামী ও নিজের চিকিৎসার খরচ, তার সাথে একমাত্র মেয়ের পড়াশোনার খরচও আছে। হাতে মাত্র চারদিন সময় পেলেন অন‍্যত্র সরে যাওয়ার। তবে রেলওয়ে অফিসাররা জানিয়ে গেলেন, চারদিন পর আবার আসবেন। কিন্তু কোথায় যাবেন, জানা নেই।  

লক্ষ্মী শর্মা বলেন, অভাবের কারণে মেয়ে নিকিতাকে কাছে রাখতে পারি না। থাকে ভাইয়ের বাড়িতে। তারাপীঠ বামদেব বিদ‍্যাপীঠে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।  ভাই অমিত শর্মা অন লাইনে ডেলিভারি ব‍্যবসা করে। সামান‍্য আয়।  দূর্মূল‍্যের বাজারে সম্বল বলতে ফুটপাতের ওপর এই দোকানটুকু।যেখানে থাকেন সেখানে প্রতিদিন উঠে যাওয়ার হুমকি। নিরাশ্রয়ী মহিলার ভরসা ছিল সেলাই মেশিন ও ছোট্ট দোকান। ভূমিহীন হওয়াই পান নি সরকারি বাড়ি।

বুধবার রেলওয়ে পুলিশ বুলডোজার নিয়ে ভাঙতে এলে অসুস্থ স্বামীকে সামনে রেখে আকুতি মিনতি করায় হাতে চার দিন সময় পেয়েছেন। কিন্তু তারপর...? উত্তরটা তার কাছে নেই। পুরসভার কাউন্সিলার শুদ্ধোধন বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় কোনো আশার কথা শোনান নি।

তবে রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত বলেন, রেলওয়ে অমানবিক কাজ করেছে। পুনর্বাসন না করে দোকান ভাঙা অনুচিত। তবে ওই মহিলা যেহেতু পুরসভার বাসিন্দা। আমরা ভাবছি। এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। রেলওয়ের সঙ্গে কথা বলবো। আমাদের আশ্রয়হীনদের জন‍্য যে ঘর আছে। সেটা দেখবো।