Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

খরপোশের মামলার শুনানিতে এসে সন্তানের কান্নায় জোড়া লাগল বাবা-মা'য়ের ভেঙে যাওয়া ঘর


ইমামা খাতুন   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:০৯ পিএম

খরপোশের মামলার শুনানিতে এসে সন্তানের কান্নায় জোড়া লাগল বাবা-মা'য়ের ভেঙে যাওয়া ঘর

 

 

 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  'চোখের জলে ভেসে গেল মনের অভিমান’। শুনতে বিস্ময়কর মনে হলেও সোমবার এমনই ঘটনার স্বাক্ষী  থাকল শিয়ালদহ কোর্ট চত্বরে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে সন্তান সহ ঘর ছেড়েছিলেন এক বধূ। ২০২৩ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে খোরপোশের মামলা দায়ের পর্যন্ত করেছিল সে। কিন্তু ঠিক মতো টাকা দিত না স্বামী। সেই মামলার শুনানিতে এসে ভাঙা ঘর পুনরায় জোড়া লাগল। এই সমাজ যে এখনও ‘ব্রেকিং’  ছেড়ে ‘বিল্ডিং’-এ বিশ্বাসী তা শিয়ালদহের এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর , এই  মিলনের নেপথ্যে রয়েছে দম্পতির ৬ বছরের ছোট্ট খুদে। মা-বাবার বিচ্ছেদের সবচেয়ে বড় 'ভিকটিম'

আদালত সূত্রের খবর,  ৩৬ বছরের গৃহবধূ বাবলি মণ্ডল ও তাঁর স্বামী স্বপন দাস সোমবার আদালতে এসেছিলেন খোরপোশের মামলায় স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামী ঠিকমতো খোরপোশের টাকা দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এদিন শুনানি ছিল। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন বাবলি সেখানেই প্রায় সাত মাস পরে বাবার সঙ্গে দেখা ছেলের এতদিন পর বাবা’কে দেখে কেঁদে ফেলে ওই খুদে। মায়ের হাত ছেড়ে দৌড় দেয় বাবার দিকে। ছোট্ট ছেলেকে বাঁধা দিলেও আটকে রাখতে পারেনি মা। কাঁদতে কাঁদতে ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে সে। ছেলের কান্না দেখে কেঁদে ফেলেন বাবা স্বপন দাসও ছেলেকে আদর করে কেক ও লজেন্স কিনে দেন তিনি মা বাবলি অবশ্য বারবারই ডাকছিলেন ছেলেকে, কিন্তু সে বাবাকে ছেড়ে আসছিল না বাবলির সঙ্গে ছিলেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা‑মাও জামাইয়ের সঙ্গে নাতির এই দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। ঝামেলা মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। মেয়েকে বলেন, আর এই মামলা চালানোর দরকার নেই নাতির কথা ভেবে যেন মেয়ে-জামাই বসে আলোচনা করে মিটিয়ে নেন সম্পর্কের সমস্যা শেষমেশ বাবলিও তাতে সম্মতি দেন কোর্ট চত্বরে বসেই স্বপন দাসের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা এর পরেই কথাবার্তা-কান্নাকাটিতে ধুয়ে যায় অভিমান বাবলি বলেন, ‘আমার মা‑বাবার কথামতো স্বামীর সঙ্গে আলোচনা হল আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের জন্য ক্ষতি হচ্ছে  সন্তানের ছেলেটাকে কষ্ট দিতে চাই না’ 

বেলেঘাটা মেন রোডের বাসিন্দা স্বপন দাসও বলেন, ‘সমস্যা হয়েছিল সংসারে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া যেত কিন্তু ও (বাবলি) ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় চেষ্টা করেও ফেরাতে পারিনি। তারপর মামলা করে। এতদিন অনেক কষ্ট পেয়েছি। আইনি ঝামেলা মিটে গেলে আবার নতুন করে সংসার শুরু করব। আমাদের জন্য  ছোট্ট বাচ্চাটা অনেক কষ্ট পেয়েছে। ওর জন্যই আমাদের আবার ‘মিলন’ হল।