Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

পড়ুয়াদের ভয় কাটাতে 'ভুতুড়ে' ক্লাসরুমে সারারাত থাকলেন শিক্ষক


Shamima Ahasana   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৫১ পিএম

পড়ুয়াদের ভয় কাটাতে 'ভুতুড়ে' ক্লাসরুমে সারারাত থাকলেন শিক্ষক

 

 

 

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভূতের ভয় যেখানে প্রবল, সেখানে মনীষীদের কথাও দূর্বল। নিজের চোখে না দেখে কোনও কিছু বিশ্বাস করতে নেই, বলেছিলেন ছোট্ট নরেন। কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দের পরামর্শও মানতে চাইছিল না তেলেঙ্গানার আদিলাবাদের মন্ডল পরিষদ আপার প্রাইমারী স্কুলের পড়ুয়ারা। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, ক্লাস ফাইভের রুমে ভূত আছে। সেই ভূত হাঁটে, চলে, আওয়াজ করে। প্রয়োজনে আবার ঘাড় মটকে দেয়। স্কুলে এসেও পড়ুয়াদের অধিকাংশের মন পড়ে থাকত ক্লাস ফাইভের রুমে। সবসময় যেন গা ছমছম করছে তাদের। ভয় এত ছড়িয়ে পড়েছিল যে গত বছর স্কুলের এক ছাত্র বাধ্য হয়ে বেসরকারি স্কুলে চলে যায়। এসব ঘটনার সাক্ষী হচ্ছিলেন সেখানকার নতুন শিক্ষক নুথাল রবিন্দর। ভূতের ভয়ের কারণ সম্পর্কে খোঁজ নিতে কয়েকজন পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাদের মনে ভূতের ভয় দেখে অবাক হয়েছিলেন শিক্ষক। অনেক করে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, ভূত বলে কিছু হয় না। কিন্তু মন গলেনি পড়ুয়াদের। যুক্তিবাদী শিক্ষকও নাছোড়বান্দা। পড়ুয়াদের ভূতের ভয় দূর করতে সারারাত ক্লাস ফাইভের রুমে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত জানান তিনি। পড়ুয়াদের দাবি ছিল, যে সে দিনে নয়, অমাবস্যার রাতে ওই ঘরে একলা থাকতে হবে শিক্ষককে। চ্যালেঞ্জ লুফে নেন নুথাল রবিন্দর। ৫ জুলাই , অমাবস্যার রাতে হাতে টর্চ আর চাদর নিয়ে পৌঁছে যান শিক্ষক। সারা রাত কাটিয়ে দেন 'ভুতুড়ে' ক্লাস রুমে। সকাল ৬ টা নাগাদ উৎসাহী পড়ুয়ারা দেখতে আসেন, ভূত তাদের শিক্ষকের ঘাড় মটকেছে কিনা। হাই তুলতে তুলতে বেরিয়ে আসেন শিক্ষক। সেই ঘটনা দেখে শেষ পর্যন্ত পড়ুয়ারা মেনে নেয়, ওই ঘরে কোনও ভূতের বাসা নেই।

পড়ুয়াদের মন থেকে ভয় দূর করতে পেরে খুশি শিক্ষক নুথাল রবিন্দর। তিনি জনবিজ্ঞান বেদিকার সাধারণ সম্পাদক। পড়ুয়াদের মনের বিকাশে দশটা–পাঁচটা ভিউটির বাইরেও শিক্ষকের এই ভূমিকা প্রশংসা কুড়াচ্ছে সব মহলের।