Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

আবাসের টাকা হাতে পেয়েই প্রেমিকের সঙ্গে পালাচ্ছে গৃহবধূরা!


আবুল খায়ের   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম

আবাসের টাকা হাতে পেয়েই প্রেমিকের সঙ্গে পালাচ্ছে গৃহবধূরা!

 

 

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ চাণক্য একবার বলেছিলেন, ‘একজন নিরক্ষরের জন্য বই যেমন উপকারী, তেমনই আয়না একজন অন্ধের জন্য উপযোগী। স্ত্রীদেরক এতদিন আয়নাভেবে এখন কপাল চাপড়াচ্ছেন হতভাগ্যস্বামীরা। আর নিজেদের ভাবছেন অন্ধ। এখন টাকাও গেল, পাকা ঘরের স্বপ্নও গেল, আর বউও গেল-সব হারিয়ে এখন চাণক্যর কথাই হয়তো ভাবছেন তাঁরা।

গরিব। অনেকেই দিন আনা দিনখাওয়া। কেউ স্ত্রীর নামে, তো কেউ আবার স্ত্রীর সঙ্গে নিজের নামও জুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, বউদের মনে যে এই মতলব ছিল তা তাঁরা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের। আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরই কর্পুরের মতো উবে গিয়েছেন তাঁদের স্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রথম কিস্তিতে ৪০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এক নিউজ পোর্টালের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার ১১জন মহিলা আবাসের প্রথম কিস্তির ৪০,০০০ টাকা হাতে পেয়েই তাঁদের প্রেমিকদের সঙ্গে ধাঁ হয়ে গিয়েছেন। এই মহিলাদের প্রত্যেকেই বিবাহিত ছিলেন। স্ত্রীরা পালানোর পর তাঁদের স্বামীরাই পুলিশের কাছে এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তাঁরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তাঁদের স্ত্রীরা যে তলে তলে এমন ফ¨ি কষেছিল তা তাঁরা এতটুকু টের পাননি। আর এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই মহিলাদের আবাস যোজনার পরবর্তী কিস্তি প্রদান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন প্রথম কিস্তির টাকা নিয়ে যে মহিলারা পালিয়েছেন, তাদের স্বামীদের কী হবে? ওই মহিলাদের অবর্তমানে তাঁদের স্বামীরা কীভাবে ঘর পাবে-এই নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে, পাকা বাড়ি তৈরির জন্য সরকার প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা দেয়। আবেদনকারী পরিবারের আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে তহবিল বরাদ্দ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, মহারাজগঞ্জ জেলায় প্রায় ২,৩৫০ জন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পেয়েছেন। থুঠিবাড়ি, শীতলাপুর, চাটিয়া, রামনগর, বকুল দিহা, খসরা, কিশুনপুর এবং মেধৌলি গ্রামে অনেকের বাড়ি তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষও হয়ে গিয়েছে। শুধু, প্রথম কিস্তির টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন ওই ১১ জন মহিলা। তবে, উত্তর প্রদেশে এই ধরনের ঘটনার নজির নতুন নয়। এর আগে বড়বাঁকি জেলায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।