Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

কাঠুয়া হামলায় নিহত ৫ সশস্ত্র সেনা, মোদি সরকারের গাফিলতির দিকে উঠছে আঙুল


ইমামা খাতুন   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম

কাঠুয়া হামলায় নিহত ৫ সশস্ত্র সেনা, মোদি সরকারের গাফিলতির দিকে উঠছে আঙুল


শ্রীনগর, ৯ জুলাই:  সম্প্রতি বিজেপির টপ লিডাররা দাবি করেছিলেন, কাশ্মীরে সন্ত্রাস ‘খতম’। আর কেউ সেখানে জঙ্গি কার্যকলাপ দেখাতে সাহস করবে না। কিন্তু সেটাই ঘটল। জঙ্গি হামলায় প্রাণ গেছে পাঁচ তরতাজা আর্মির। এ নিয়ে উদ্বেগে দেশের মানুষ। কাশ্মীরে নিরাপদ নয় সেনারাও। কাঠুয়া হামলা উদ্বেগজনক। প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। মঙ্গলবার ওই মন্তব্য করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ওমর আবদুল্লাহ। তিনি এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শিথিলতার কারণকে দায়ী করেছেন। প্রকারান্তরে তিনি মোদি-শাহ সরকারের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছেন। মঙ্গলবার ওমর বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি, কোনও সমালোচনাই এই হামলার জন্য যথেষ্ট নয়। দায়িত্বরত অবস্থায় পাঁচ সাহসী সৈন্যকে হারানোর মতো ওই আক্রমণের ঘটনায় আমাদের সকলের শঙ্কিত হওয়া উচিত। ফারুক আবদুল্লাহর দাবি, সীমানা টপকে পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা এসে হামলা চালিয়েছে। তাই তিনি পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, এ ধরনের সন্ত্রাস বন্ধ করুন। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। 
জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় সোমবার বিকেলে সেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলা হয়। মোট নিহতের সংখ্যা ৫। আহত ৫ জওয়ান। জানা গিয়েছে, বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ টহলদারিতে বেরোনো সেনার কনভয় লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গ্রেনেড ছোড়ে, শুরু করে গুলিবৃষ্টি। তার পরে কাছের জঙ্গলে পালায়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে চলছে তাদেরকে খোঁজার কাজ। তবে ভারতের মাটিতে এসে এভাবে পাঁচজন আর্মিকে মেরে ফেলায় হতাশ ও দুঃখিত দেশবাসী।

এত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কথা বলেন মোদি, আবার ‘নয়া স্বাভাবিক কাশ্মীর’-এর কথাও শোনা যায় বিজেপির  মুখে। তাহলে সেখানে এত মৃত্যু কেন? সেনাবাহিনীর সশস্ত্র ব্যক্তিরাও সেখানে নিরাপদ নন। এর জবাব খুঁজছে দেশের মানুষ। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংদের বিবৃতি দাবি করছে জনতা।  
এদিকে মঙ্গলবার জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের পাশে, বান টোল প্লাজার কাছে দু’টি মর্টার শেল দেখতে পাওয়া যায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিন সকালে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ টহল চলাকালীন একটি খাদে ওই মর্টার শেলগুলি লক্ষ করা যায়। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী স্কোয়ার্ডের বিশেষজ্ঞেরা  তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছান। এর পরে দুপুর নাগাদ ওই দু’টি বিস্ফোরককে নিরাপদে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে।