Sun, October 6, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

সীমান্তে পাচারে মদদ দেওয়ার অভিযোগ খোদ কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম

সীমান্তে পাচারে মদদ দেওয়ার অভিযোগ খোদ কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে

 

পুবের কলম প্রতিবেদক, স্বরূপনগর: এবার সীমান্তে পাচারে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা। অভিযোগ, স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা নাজমুল সরদার সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নামে স্থানীয় চোরাকারবারিদের কাছ থেকে টাকা তুলছিল।

শান্তনু ঠাকুরের লেখা বিএসএফের উদ্দেশ্যে ছাড়পত্র চিঠি তুলে দেয় চোরাকারবারিদের হাতে । সীমান্তে বিএসএফের ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ান এর উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। যাতে তিন কেজি গরুর মাংস নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা লেখা।

পাচারকারী জিয়ারুল গাজী বলেন,  দীর্ঘদিন ধরেই এই বিজেপি নেতা নাজমুল মন্ডল সীমান্ত এলাকার মানুষের কাছ থেকে প্রতিটা স্লিপের বিনিময়ে ২০০ করে টাকা নেন। প্রতিদিনই পাঁচ থেকে ছয়টা স্লিপ ছাড়েন এমপির সই করা প্যাডে। কেউ কেউ বলেন এই টাকা নেয়  এমপির নাম করে।

উল্লেখ্য , ওপার বাংলায় গরুর মাংস মহার্ঘ। তাই গরুর মাংস প্রসেসিং করে পাচারকারীরা পাচার করে থাকে এমনটাই মনে করে এলাকাবাসীদের একাংশ। সীমান্ত এলাকায় এই অসাধু রেকেট সম্পর্কে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ সীমান্ত এলাকায় চলছে।

বিজেপির মদদে  মাংসের সাথে সাথে গরুও এইভাবে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে। আমরা দাবি করব, এই বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। যদিও এক প্রেস মিটে তাঁর নিজের সই করে দেওয়া বিএসএফকে  অনুরোধ মূলক ছাড়পত্রের কথা স্বীকার করে নিয়ে  কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, সীমান্তের নাকা চেকিং এর সময় গ্রামবাসীদের সআমআনপত্র নিয়ে যেতে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা তাদের দলীয় কর্মী সমর্থকদের সুবিধার জন্য এই ধরনের চিঠি ব্যবহার করে। বিজেপির কোন পঞ্চায়েত সদস্য বা এমএলএ না থাকায় এখানে আমাদের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বঞ্চিত হয়। তাই তাদের সুবিধার্থে এলাকার এমপি হিসেবে এই ব্যবস্থা। এতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হয়, এটা পাচারের বিষয় নয়।