আবুল খায়ের প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার দ্বিতীয় বিদেশ সফরে চিন যাচ্ছেন। ভারত সফরের দুই সপ্তাহের মধ্যেই হাসিনার এই চারদিনের সফর কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই নয়া দিল্লির কাছে যথেষ্ট গুরুতবপূর্ণ। শেখ হাসিনার সফরকালে চিন-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একটি ‘ব্যাপক কৌশলগত-সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত হতে পারে, যেটিকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তৃতীয়-সর্বোচ্চ স্তরের সম্পর্ক হিসেবে বিবেচনা করে চিন।
হাসিনার এই সফরে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) হতে পারে। পাশাপাশি, একাধিক খাতে ২০ থেকে ২২টি মউ স্বাক্ষর এবং দু'হাজার কোটি ডলারের ঋণের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। চিন এবং বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক লেনদেন বৃদ্ধি পেলে বেইজিংয়ের ওপর ঢাকার নির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। হাসিনার এই সফরের দিকে কড়া নজর রাখছে নয়া দিল্লি।
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগীয় প্রধান লিউ জিয়ানচাও-ও সম্প্রতি ঢাকা সফর করেছেন। ঢাকার সূত্র বলছে, শেখ হাসিনার এই সফরের পর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে পরিবর্তন ঘটবে, যার প্রতিফলন দেখা যাবে যৌথ বিবৃতিতে।
যদিও বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু এবং চিন উন্নয়নের। কাদেরের এই কথায় নয়া দিল্লির উদ্বেগ কমার সম্ভাবনা কম।
চিন-বাংলাদেশের মধ্যে সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পরিণতির দিকে তাকিয়ে ভারত। নয়া দিল্লির এক কূটনৈতিক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমারা বাংলাদেশি পণ্যগুলিকে ভারতে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার দিই। শুধুমাত্র দেশের বাজারে প্রবেশের জন্য পণ্যগুলিকে শুল্ক দিতে হয়। চিনা পণ্য বাংলাদেশে শুল্কছাড় পেলে তা সত্যিই (ভারতের জন্য) উদ্বেগের বিষয় হবে।