Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

নিরাপত্তার নির্দেশিকায় ভাঙা পড়ল অস্থায়ী দোকান, ক্ষোভ


আবুল খায়ের   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:৫২ এএম

নিরাপত্তার নির্দেশিকায় ভাঙা পড়ল অস্থায়ী দোকান, ক্ষোভ

 

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ মর্মান্তিক এক দূর্ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে কর্মচ্যুত প্রায় দেড় হাজার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে  পুণে জেলার লোনাভালায় ভূশি বাঁধ এলাকায়। সেখানে সম্প্রতি এক দূর্ঘটনায় চার শিশু-সহ এক মহিলা ভেসে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পটে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা চলতি মাসের ২ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস) এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৫ অনুসারে পুনের জেলা শাসক সুহাস ডিভাসে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।

বিপজ্জনক জায়গাগুলি চিহ্নিত করে লাইফগার্ড এবং উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে দর্শকদের সতর্ক করার জন্য সতর্কীকরণ বোর্ডও ঝোলানো হয়েছে। বিএনএসএস এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা ১৬৩ অনুসারে নিষেধাজ্ঞামূলক স্থানে এখন পাঁচ বা তার বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জলাশয় এলাকায় মানুষের প্রবেশ সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও নির্দিষ্ট স্থানে সেলফি তোলা এবং রিল তৈরির মতো সমস্ত ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে

উল্লেখ্য, লোনাভালার নৈসর্গিক পাহাড়ের মধ্যে ভূশি ড্যাম একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বর্ষাকালে এই বাঁধ অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত জলপ্রপাতের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রচুর পরিমাণে দর্শনার্থীরা ভিড় করে। পিকনিক এবং জলকেলিতে মেতে ওঠে পর্যটকরা।

কিন্তু এই দূর্ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে লোনাভালা মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল এবং সেন্ট্রাল রেলওয়ের যৌথ উদ্যোগে ৬০টিরও বেশি অস্থায়ী দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে। এরফলে এই দোকানের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলি ক্ষুব্ধ। সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে একজন মহিলা অস্ত্র হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি অন্য এক মহিলা প্রশ্ন তোলেন, প্রশাসন কী এই পদক্ষেপের জন্য পথে বসে যাওয়া দেড় হাজার পরিবারের কথা ভেবেছে? তাদের ক্ষোভের প্রধান কারণ একও দিকে যখন বড় বড় হোটেল খোলা থাকছে তখন নিরাপত্তার নামে তাদের দোকানগুলির ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকেই নিজেদের শেষ সম্বল বিক্রি করে এই ব্যবসা করছেন। এই নির্দেশিকার ফলে তাদের পেটে লাথি পড়ছে। এই চারমাসই তাদের উপার্জনের সময়। তাও যদি বন্ধ থেকে তাহলে সারা বছর তাদের চলবে কীভাবে। প্রতিবাদী ক্ষুদ্রব্যবসায়ীদের দাবি যখন এই বাঁধ গড়ে তোলা হয় তখন তাদের জমি জায়গা থেকে উৎখাত করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর সরব হয়েছে বিরোধীরা।