Sun, October 6, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

ব্রিটেন: নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জয়ী শেখ হাসিনার ভাগনি  লেবার পার্টির টিউলিপ সিদ্দিক


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম

ব্রিটেন: নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জয়ী শেখ হাসিনার ভাগনি  লেবার পার্টির টিউলিপ সিদ্দিক

 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেন বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র টিউলিপ সিদ্দিক। টানা চতুর্থবারের মতো বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি।

৫ জুলাই,  শুক্রবার সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আটজন ব্রিটিশ নাগরিক লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। বর্তমানে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং আবার মনোনয়ন পেয়েছেন এমন চারজনের একজন হলেন টিউলিপ সিদ্দিক।

জয়ের পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার জ্যেষ্ঠ মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ বলেন, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য সম্মান। যারা তাকে ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। আর যারা আমাকে ভোট দেয়নি আমি তাদেরও এমপি। তাদের জন্যও আমি কঠোর পরিশ্রম করব।

জানা গেছে,  হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে নির্বাচন করা টিউলিপ সিদ্দিক ২৩,৪৩২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ অ্যান্ড ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮,৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রিন পার্টি থেকে লরনা জেন রাসেল। তার প্রাপ্ত ভোট ৬,৬৩০। এ ছাড়া রিফর্ম ইউকে থেকে ক্যাথরিন বেকার ২,৯৪০ ভোট পেয়েছেন। বাকি রিজয়েন ইইউ থেকে ক্রিস্টি এলান-কেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে স্কট এমেরি, জোনাথন লুই লিভিংস্টোন (স্বতন্ত্র) উল্লেখযোগ্য ভোট অর্জন করতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, টিউলিপ ১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে সাংগঠনিক রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এম‌পি নির্বা‌চিত হওয়ার আগে তিনি ক্যাম‌ডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ‌তি‌নিই ছিলেন ক্যাম‌ডেন কাউন্সিলের প্রথম বাংলা‌দেশি বংশোদ্ভূত নারী কাউন্সিলর। ২০১৫ সালে তিনি শক্তিশালী সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য বিজয়ী হন। বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের শ্যাডো ক্যাবিনেটের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।