Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

লন্ডন নিবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধর্মীয় গুরুর নামে একাধিক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, জরিমানা আদালতের


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম

লন্ডন নিবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধর্মীয় গুরুর নামে একাধিক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, জরিমানা আদালতের

 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ফের সামনে এল লন্ডনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত "গুরু" রাজিন্দর কালিয়ার নাম। যিনি নিজেকে ঈশ্বরের দূত বলে থাকেন। ইংল্যান্ডের একটি ধর্মীয় সমাজের প্রধান পুরোহিত তিনি। স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে মহিলার অনুগামীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে কালিয়া হলেন এর প্রধান পুরোহিত, বা 'গুরু', নিজেকে ঈশ্বরের সেবক "জিন্দর দাস" হিসাবে উল্লেখ করেছেন৷ লন্ডনের হাইকোর্টে তার বিরুদ্ধে আট মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা দায়ের করেছে। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধর্মগুরু রাজিন্দর কালিয়া। 

সূত্রের খবর, শিশুরাও নির্যাতিত হয়েছে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর কাছে। চারজন মহিলা দাবি করেছেন যে কালিয়া তাদের যৌন নিপীড়ণ করেছেন। একজন ভুক্তভোগীর দাবি যে দুই দশকে ১৩২০ বার নির্যাতিত হয়েছেন তিনি। তাদের অভিযোগ, শিশুরাও যৌন নির্যাতনের শিকার। অপর একজন দাবি করেছেন, কালিয়া তাকে বার্মিংহামের একটি হোটেলে ধর্ষণ করেছে। অপর একজনের দাবি কুমারী হওয়ার আগে তার যখন চার বছর বয়সে তাকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন ধর্মগুরু রাজিন্দর কালিয়া। আরও তিনজন নির্যাতিত জানান, তারা আর্থিক নির্যাতনেরও শিকার হয়েছেন।

রাজিন্দর কালিয়া কভেন্ট্রির সিদ্ধ বাবা বালক নাথ জি সোসাইটির প্রধান। কালিয়া নিজেকে "ঈশ্বরের অবতার" বলে দাবি করেছেন। তিনি পঞ্জাব থেকে লন্ডনে আসার আসেন ১৯৭৭ সালে। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি এখানে প্রচার শুরু করেন।

ধর্মগুরু কালিয়ার দাবি, তিনি কিশোর বয়স থেকেই অলৌকিক ঘটনা অনুভব করেন। যেমন বলা হয়েছিল, তিনি মোটরবাইক দুর্ঘটনার পরে আর হাঁটতে পারবেন না কিন্তু হিমাচল প্রদেশে বাবা বালাক নাথের দর্শনের পরে তার পায়ে ফিরে আসেন। উল্লেখ্য, স্বঘোষিত ধর্মগুরুদের কর্মকাণ্ডে একের পর এক বিতর্কে ঢেউ। রাম রহিম বাবা তথা ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং থেকে আশারাম বাপু। যৌন নির্যাতন, খুনের প্ররোচনা, ধর্ষণ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই তালিকায় সংযোজন উত্তরপ্রদেশের ধর্মীয় গুরু ভোলে বাবা। নিজের আশ্রমেই কুকীর্তির কথা সামনে এসেছে। সুরজপাল সিং জাটব, ওরফে ভোলে বাবা পুলিশে কাজের সময় এক মহিলাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে চাকরি হারান, জেলে যেতে হয় তাকে।