Sat, October 5, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

কুলতলির কৈখালীতে তৈরি হতে চলেছে ভাসমান জেটি ঘাট


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ০৪ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম

কুলতলির কৈখালীতে তৈরি হতে চলেছে ভাসমান জেটি ঘাট

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: সুন্দরবনের কুলতলিকে পর্যটকদের কাছে আরও সুবিধার জন্য তৈরি হতে চলেছে এবার ভাসমান জেটি ঘাট। সুন্দরবনের মাতলা নদীর ধারে কুলতলি বিধানসভার কৈখালি সুন্দরবনের অন্যতম প্রবেশদ্বার। কিন্তু বেহাল জেটিঘাট-সহ বিভিন্ন কারণে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা অপেক্ষাকৃত কম। আর এ বার সেখানে ভাসমান জেটি তৈরিতে উদ্যোগী হলো প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলা শাসক সহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা এবং কুলতলি বিডিও সহ বিধায়ক জেটি তৈরির জন্য জায়গা পরিদর্শন করে গেলেন।তাঁরা কৈখালীর নদীর পার বরাবর একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন।এখানে ভাসমান জেটি হলে এলাকায় পর্যটনে গতি আসবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় মানুষজন। আর এতে লাভবান হবেন জলপথের নিত্যযাত্রী ও মৎস্যজীবীরাও।প্রশাসন সূত্রে জানা গেল,কৈখালীর দু’টি জায়গা বাছাই করা হয়েছে। তার মধ্যে যে কোনও একটি জায়গায় জেটি তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সেচ ও পূর্ত দফতরের কাছে। সেই প্রস্তাব অনুমোদন হলেই জেটি তৈরির বাকি প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে কুলতলির বিডিও সুচন্দন বৈদ্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে ভাসমান জেটি তৈরির প্রস্তুতি চলছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক সহ অন্যান্য দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে জায়গা দেখা হয়েছে। আপতত দু’টি জায়গা ঠিক করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে জেটি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এই জেটি তৈরি হলে পর্যটন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক প্রসার ঘটবে।এই কৈখালি থেকে সরাসরি  লঞ্চে পৌঁছে যাওয়া যায় বনি ক্যাম্প, কলসদ্বীপের মতো সুন্দরবনের গভীরের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে।

একদিনেই ঘুরে আসা যায় ঝড়খালি-সহ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র। কৈখালী জায়গাটিও মনোরম।নিমপীঠ শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনের একটি শাখা রয়েছে এখানে। নদীর পারে রাত্রিবাসেরও জায়গা আছে। পর্যটকদের কাছে তাই এই জায়গাটির আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। কিন্তু বেহাল জেটিঘাটের কারণে অনেকেই এড়িয়ে চলেন জায়গাটি। ঘূর্ণিঝড় আমফান ও ইয়াসে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল কৈখালির জেটিঘাটটি।দীর্ঘদিন ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল এর ফলে, সমস্যায় পড়তেন পর্যটক সহ বহু নিত্যযাত্রীরা। পরে জেটিঘাটের সংস্কার হয়েছে। তবে, নদীতে জল কম থাকলে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠা-নামায় সমস্যা হয়।ভাসমান জেটি হলে এই সমস্যা মিটবে বলেই মনে করছেন অনেকে।এই জেটিঘাট থেকে বহু নিত্যযাত্রী কুলতলির বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করেন। কৈখালি থেকে বহু ট্রলারও মাছ ধরতে নদী সমুদ্রে পাড়ি দেয়। ভাসমান জেটি হলে সুফল মিলবে তাঁদের ও।প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৮ সাল নাগাদ কৈখালীতে ভাসমান জেটি তৈরিতে উদ্যোগী হন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য, বর্তমানে কুলতলি বিধানসভার বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল। সেইমতো পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। সেচ ও পূর্ত দফতরের যৌথ উদ্যোগে এই জেটিঘাট টি তৈরি করা হবে বলে ঠিক হয়। প্রাথমিক ভাবে জেটি তৈরির জন্য একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই জায়গাটি বাতিল হয়ে যায়। এরপরই নতুন করে জায়গা দেখার কাজ শুরু হয়। এব্যাপারে কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, এই ভাসমান জেটি ঘাটটি তৈরি হলে সুন্দরবনের কুলতলি ও কৈখালীতে পর্যটকদের ঢল নামবে। পর্যটনের মানচিত্রে আলাদা জায়গা করে নেবে কুলতলির কৈখালি পর্যটন কেন্দ্রটি।