ইমামা খাতুন প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
ব্রিজটাউন, ৩ জুলাই: ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বেগে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। সোমবার ক্যারিবীয় অঞ্চলের বার্বাডোজ ও গ্রেনাডাসহ বেশ কয়েকটি দ্বীপে আঘাত হানে অতি বিপজ্জনক ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার এ ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে তছনছ হয়ে যায় দ্বীপগুলো। দ্বীপগুলিতে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ইউনিয়ন আইল্যান্ডের (সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস) প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই এখন গৃহহীন। সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা এবং সেন্ট লুসিয়াতে অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ইউনিয়ন আইল্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যালায়েন্সের ডিরেক্টর ক্যাটরিনা কোয় বলেন, ‘বেরিলের আঘাতের পর ইউনিয়ন দ্বীপটি ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। দ্বীপটিতে এখনও দাঁড়িয়ে আছে এমন ভবনের সংখ্যা খুবই কম। বাড়িঘর ভেঙে গেছে, রাস্তা অবরুদ্ধ, রাস্তায় পড়ে আছে বিদ্যুতের খুঁটি।’ দ্বীপটির জেলে ও মাছ ধরার গাইড সেবাস্তিয়ান সাইলি বলেন, ‘সবকিছু হারিয়ে গেছে। আমার এখন থাকার জায়গা নেই। যেন এখান দিয়ে টর্নেডো গেছে। দ্বীপের ৯০ শতাংশই যেন মুছে ফেলা হয়েছে।’সেবাস্তিয়ান ১৯৮৫ সাল থেকে ইউনিয়ন দ্বীপের বাসিন্দা। ২০০৪ সালের হারিকেন ‘ইভান’র তাণ্ডবও দেখেছেন তিনি। তার মতে, হারিকেন বেরিল অন্য স্তরের ছিল। সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনসের প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস বলেন, ক্যারিবীয় দ্বিপপুঞ্জের সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনসের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল। ইউনিয়ন দ্বীপের ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিয়ন দ্বীপ ধ্বংস হয়ে গেছে। এমনকি দ্বীপটির বিমানবন্দরের ছাদও ধ্বংস হয়ে গেছে।’ ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করতে সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সাহায্য লাগবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী রালফ জানান, দ্বীপটির সংস্কার কাজ নিয়ে বেশ চিন্তিত তিনি। এত টাকা কোথায় পাবেন, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন রালফ।