Kibria Ansary প্রকাশিত: ০৬ জুলাই, ২০২৪, ০৯:০১ এএম
নয়াদিল্লি, ২৮ জুন: গত বুধবার ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বার্ষিক এক রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই রিপোর্টে সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষ বাড়ছে বলে উল্লেখ্য করা হয়। পাশাপাশি ধর্মীয় স্বাধীনতায় ভারতের অবস্থান দুর্ভাগ্যজনক বলে নয়াদিল্লির তীব্র সমালোচনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার মার্কিন রিপোর্টকে 'পক্ষপাতদুষ্ট' বলে আখ্যা দিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, '২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার মার্কিন রিপোর্ট আমরা নোট করেছি। অতীতের মতো রিপোর্টটি গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। ভারতের সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে বোঝার অভাব রয়েছে তাদের। দৃশ্যত ভোটব্যাঙ্কের বিবেচনা এবং একটি নির্দেশমূলক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা চালিত। তাই আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।' ভুল উপস্থাপনা, তথ্যের বাছাই করা ব্যবহার, পক্ষপাতদুষ্ট উৎসগুলির উপর নির্ভর করে একতরফা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলেও সুর চড়িয়েছেন জয়সওয়াল।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, "২০২৩ সালে, ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘৃণ্য অপরাধ, ভারতীয় নাগরিক এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর জাতিগত আক্রমণ, উপাসনালয়ে ভাঙচুর ও লক্ষ্যবস্তু, আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সহিংসতা এবং দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদের রাজনৈতিক স্থান অনুসারে অসংখ্য মামলা গ্রহণ করেছে। তবে এ ধরনের সংলাপ যেন অন্য রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের লাইসেন্স না হয়।"
উল্লেখ্য, বুধবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ভারতের তীব্র সমালোচনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ভারতে ধর্মান্তরবিরোধী আইন, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি বিদ্বেষ এবং সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি ও উপসনালয় ভেঙে দেওয়ার মতো বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ওয়াশিংটন। গত বুধবার ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বার্ষিক এক রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভারতে সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য ধর্মান্তরবিরোধী আইন, ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য, বাড়ি-ঘর ও উপাসনালয় ধ্বংস অনেক বেড়েছে।’ ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, "ভারতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় জানিয়েছে যে, ধর্মান্তরের অভিযোগ এনে তাদের প্রার্থনায় বাধা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। আর বিক্ষুব্ধ সেই জনতাকে সহায়তা করেছে স্থানীয় পুলিশ। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর জনতার হামলার সময় পুলিশ চুপ করে দাঁড়িয়েছিল। তারপর ধর্ম পরিবর্তনের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীদেরই গ্রেফতার করা হয়।"