আবুল খায়ের প্রকাশিত: ০৩ জুলাই, ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পূর্বতন সভাপতিকে গ্রেফতারের পর জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বন্ধের নির্দেশিকা জারি করল জম্মু কাশ্মীরের প্রশাসন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের আইনজীবীদের এই শীর্ষ সংগঠনের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী মতার্দশ প্রচারের অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন বন্ধের এই নোটিশটি বুধবার সামনে আসে।
শ্রীনগর সিনিয়র সুপারিটেনন্ডেন্ট অফ পুলিশ(এসএসপি) তাঁর নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, নির্বাচনের অনুমতি দেওয়া হলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই আদেশ অমান্য করলে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে শ্রীনগরের জেলাশাসক তাঁর বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, জেলা আদালত কমপ্লেক্স, মুমিনাবাদ, বাটমালুর প্রাঙ্গণে চারজনের বেশি ব্যক্তি জমায়েত হওয়া যাবে না। একইসঙ্গে নির্দেশিকায় জানান হয়েছে, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন স্থগিত থাকবে। এই আদেশনামায় সরকারের সমর্থনপুষ্ট স্বল্প পরিচিত আইনজীবীদের সংগঠন কাশ্মীর অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশনের উল্লেখও করা হয়েছে।
এই বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে বার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী শাহিন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগামী ১ জুলাই নির্বাচন হওয়ার কথা ছি। এরমধ্যে সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাবো। এই নির্দেশিকা বেআইনি বলেও দাবি করেন শাহিন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের আইনজীবী তথা বার অ্যাসোসিয়েশনের সর্বশেষ সভাপতি মিয়ান কায়ুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কায়ুমকে আইনজীবী বাবার কাদরিকে হত্যার মামলায় গ্রেফতার করা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কাদরিকে শ্রীনগরের লালবাজারে তার বাড়ির ভিতরে হত্যা করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের পর থেকে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বন্ধ। ২০১৯ সালে অ্যাসোসিয়েশনের সর্বশেষ নির্বাচিত সভাপতি কায়ুম।