Tue, July 2, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

ভারতে তৈরি ৫০টি জীবনদায়ী ওষুধ নিম্নমানের: রিপোর্ট


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ৩০ জুন, ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম

ভারতে তৈরি ৫০টি জীবনদায়ী ওষুধ নিম্নমানের: রিপোর্ট

নয়াদিল্লি, ২৬ জুন: গত কয়েক বছর ধরেই ভারতে তৈরি ওষুধগুলির গুণমান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠছে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ভারতে তৈরি ৫০টি জীবনদায়ী ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রাম, কিছু ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় ট্যাবলেটে খুবই সামান্য পরিমাণ ওষুধ আছে। অর্থাৎ, গুণমানে উতরোতে পারেনি দেশে উৎপাদিত ওষুধগুলো।
রিপোর্টে যে ওষুধগুলিকে নিম্নমানের বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রাম ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ টেলমিসারটান, কুফটিন কাশির সিরাপ, খিঁচুনি বা তড়কা রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত ক্লোনাজেপাম ট্যাবলেট, ব্যথা উপশমকারী ডাইক্লোফেনাক ছাড়াও একাধিক ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট। গুণমানে ডাহা ফেল ৫০টি ওষুধের মধ্যে ২২টি বিজেপি শাসিত হিমাচল প্রদেশে তৈরি হয়। রাজ্য ওষুধ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে নোটিশ পাঠিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ওষুধের পুরো ব্যাচ বাজার থেকে তুলে নিতে বলেছে।

রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান বলেছেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাঁদের ওষুধ পরিদর্শকরা ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং দোষী ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে কসমেটিক অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাক্টে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। দেশে উৎপাদিত প্রতি তৃতীয় ওষুধের মধ্যে একটি হিমাচলে তৈরি হয়। তাই ওষুধের মান নিয়ে কোনওভাবেই আপস করা হবে না।

সিডিএসসিও ওয়াঘোদিয়া (গুজরাট), সোলান (হিমাচল প্রদেশ), জয়পুর (রাজস্থান), হরিদ্বার (উত্তরাখণ্ড), আম্বালা, ইন্দোর এবং হায়দরাবাদ এবং অন্যান্য জায়গা থেকে পরীক্ষার জন্য এই ওষুধগুলির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নিম্নমানের প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট নিম্নমানের বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই ওষুধ মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর অ্যাসকন হেলথকেয়ারে তৈরি হয়। এ ছাড়াও গলার সংক্রমণ, কাশি, উচ্চ রক্তচাপ, জ্বরের ওষুধ গুণমান পেরোতে পারেনি। ওই ওষুধগুলির মধ্যে অনেকগুলো কোনও লেবেল ছাড়াই পাওয়া গেছে এবং কিছু নকল ওষুধও ছিল।
হরিয়ানার একটি কোম্পানির তৈরি চারটি ওষুধ সেবনের পর গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশু মারা গিয়েছিল। রিপোর্টে প্রকাশ, গুরুতর কিডনির ক্ষতি হয়েছিল শিশুদের। কিডনির ক্ষতি হয় ওষুধে বিষাক্ত পদার্থ থাকায়। তারপরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালরেক সতর্কও করেছিল। তাদের তৈরি কাশির সিরাপে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল রয়েছে, যা মানুষের জন্য বিষাক্ত। যদিও ভারত সরকার ওই ওষুধে টক্সিনের উপস্থিতির কথা ক্রমাগত অস্বীকার করে আসছে।