ইমামা খাতুন প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:১৩ এএম
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা জিয়ারত প্রত্যেক মুমিনের স্বপ্ন। নবী সা.র রওজা জিয়ারতের বিশেষ ফজিলতও রয়েছে। এবছর ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদে নববীতে অবস্থিত আল রওজা আল শরিফা জিয়ারতের রেকর্ড হয়েছে। সাম্প্রতিক হজ মরসুমে পবিত্র রওজা মুবারক জিয়ারত করেছেন বিশ্বের ১৪ লক্ষেরও বেশি মুসলিম। মসজিদে নববীর জেনারেল অথরিটি বলেছে, মুসল্লিদের স্বাচ্ছন্দ্যে নামায আদায়ে সহায়তা করার জন্য তারা সর্বোচ্চ মানের পরিষেবা সরবরাহ করার চেষ্টা করেছে। সউদি আরবের পবিত্র নগরী মদিনার মসজিতে নববীতে নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা অবস্থিত। রওজা শরিফ পরিদর্শন এবং সেখানে নামায আদায়ে ইচ্ছুক মুসলিমদের দেশটিতে পৌঁছানোর আগেই সউদি আরবের সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। বিগত কয়েকদিনে আল রওজা আল শরিফার ছোট জায়গাটিতে দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম হয়েছে। এত সংখ্যক মুসল্লিকে সামাল দেওয়া এক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছেন মসজিদে নববীর সহকারী সুপারভাইজার আবদুল আজিজ আল আইয়ুবী। সৌদির তিনি বলেছেন, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রওজা জিয়ারত কার্যক্রম স্বেচ্ছাসেবী ও অন্যান্য সহায়ক সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টায় সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে এ বছর হজ মরসুমে ১৪ লক্ষেরও বেশি দর্শনার্থীকে স্বাগত জানানোর কাজ সহজ হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে মসজিদে নববীতে অবস্থিত নবী (সা.র) রওজা পরিদর্শনে নতুন নিয়ম জারি করে সউদি আরব কর্তৃপক্ষ। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে বিশ্বের মুসলিমরা বছরে কেবল একবার পবিত্র রওজা মুবারক পরিদর্শন করতে পারবেন। সউদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রক বলেছে, ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থানটি ৩৬৫ দিনই পরিদর্শন করতে পারবেন মুসলিমরা। এক্ষেত্রে একজন মুসলিম বছরে একবার পবিত্র রওজা পরিদর্শনের অনুমতি পাবেন। মন্ত্রক জানায়, একজন মুসলিম তার সর্বশেষ পরিদর্শনের অনুমতির ৩৬৫ দিন পর ফের রওজা শরিফ পরিদর্শনের জন্য নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।