Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

মুখ্যমন্ত্রীর ধমক: হাতিবাগান-সল্টলেকে অবৈধ দখলদারি রুখতে মাঠে নামল পুলিশ


Kibria Ansary   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:২৩ এএম

মুখ্যমন্ত্রীর ধমক: হাতিবাগান-সল্টলেকে অবৈধ দখলদারি রুখতে মাঠে নামল পুলিশ

পুবের কলম প্রতিবেদক: নবান্নে পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে সরকারি আমলাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক বেআইনি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি থেকে পুলিশ-আমলা অনেকেই যুক্ত বলে আমলাদের ভৎর্সনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কড়া বার্তার পরই সক্রিয় ভূমিকায় মাঠে নামল পুলিশ। সোমবার সন্ধেয় হাতিবাগানে রাস্তার ধারে ফুটপাথের উপর অনেকগুলি ছোট ছোট দোকানদারদের ধমক দিয়ে রাস্তার উপরের অংশ থেকে মালপত্র সরালেন পুলিশকর্মীরা। এদিন সল্টলেক সেক্টর ফাইভেও অবৈধ দখলদারি রুখতে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় পুলিশকে। বেআইনিভাবে দখলদারি সরাতে রাস্তার উপর উঠে আসা দোকানের অংশ সরাতে তৎপর হয় পুলিশ। যদিও পুলিশের এই পদক্ষেপে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আগে দোকান আরও বাড়তি ছিল, এখন অনেক কমিয়ে দিয়েছি। এখন বললে, দরকার হলে আরও চেপে যাব। কিন্তু যদি একেবারে হকার তুলে দেয়, তাহলে আমাদের কী হবে!’

এদিকে পরিষেবা না পেলে পুরসভার দরকার কী? পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জমি জবরদখল নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, "একের পর এক বেআইনি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি থেকে পুলিশ-আমলা অনেকেই যুক্ত, সবার নাম প্রকাশ্যে বলে অপমান করতে চাই না। শিলিগুড়িতে ল্যান্ড মাফিয়া তৈরি হয়েছে। সিপিএম জমানার প্রোমোটিং সিন্ডিকেট এখনও চলছে।" রাজ্যের পুরসভাগুলোর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "একটা গ্রুপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই লোক বসিয়ে দিচ্ছে। একে তো কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আমি কত টানব? বাংলার আইডেন্টটিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কেন বুঝতে পারছেন না? আপনার এবং আপনাদের টাকা খাওয়ার জন্য বাংলার পরিচয় নষ্ট হচ্ছে। রাজ্য সরকারের জমি পাচ্ছেন, বেচে দিচ্ছেন।"