আবুল খায়ের প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:১৮ এএম
পুবের কলম, ওয়েব
ডেস্কঃ কর্ণাটক ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মহিলদের জন্য কলেজ স্থাপনের
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। হিজাব বিতর্কের ফলে যে সমস্ত মুসলিম ছাত্রীরা পড়াশুনা বন্ধ
করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন, তারা পুণরায় শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের জন্য আনুমানিক ৪৭.৭৬ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার রাজ্যের হজ ভবনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য
রাখতে গিয়ে কর্নাটকের সংখ্যালঘু কল্যাণ ও ওয়াকফ
মন্ত্রী বি জেড জামির আহমেদ খান বলেন, 'হিজাব বিতর্কের কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের যে
ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে দূরে চলে গিয়েছিল। তাদের শিক্ষার আঙ্গিনায় ফিরিয়ে আনতে ওয়াকফ
বোর্ড মহিলা কলেজ স্থাপন করবে। সংখ্যালঘু কল্যাণ দফতর এই কলেজগুলি পরিচালনা করবে।'
বেঙ্গালুরু, মাইশুর,
বগালকোট এবংচিত্রদুর্গা-মত ১৫টি জেলায় প্রাক স্নাতক কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানা
গেছে। প্রসঙ্গত ১৫টি কলেজের প্রতীকী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হিজাব পড়ে
আসার কারণে মুসলিম ছাত্রীদের ক্লাসে উপস্থিত থাকতে নিষেধ করা হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি,
স্কুলের ঘোষিত ইউনিফর্মের নিয়ম বিরুদ্ধ হিজাব পরিধান। শুধু তাই নয় বেশ কিছু অ-মুসলিম
সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা তাদের ধর্মমত অনুসারী পোষাক পড়ে আসার দাবি করে। যার কারণে পরিস্থিতি
উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় কর্ণাটক সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোষাক নিষিদ্ধ
বলে ঘোষণা করে। শুধু তাই নয়, এই পরিপ্রেক্ষিতে এক মামলার রায়ে কর্ণাটক হাইকোর্ট সরকারি
নিষেধাজ্ঞার রায়ে পক্ষে জানায়, হিজাব পরিধান মুসলিম ধর্মে অপরিহার্য নয়।
এরফলে অনেক মুসলিম ছাত্রী
তাঁদের পড়াশুনা বন্ধ করে দেন। এক রিপোর্টে জানা গেছে, কর্নাটকে হিজাব বিতর্কের কারণে
বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের প্রায় ১ হাজার মুসলিম ছাত্রী ড্রপ আউট হয়ে যায়। কর্নাটক সরকারের
এই প্রকল্পের ফলে তাঁরা আবার শিক্ষালয়ে ফিরবেন বলেই মনে করা হয়েছে।