Sat, October 5, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

ভোটের আগে সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা তোলার পক্ষে সরব শরদ পাওয়ার


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ০৫ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:১২ এএম

ভোটের আগে সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা তোলার পক্ষে সরব শরদ পাওয়ার

মুম্বই, ৪ অক্টোবর:  সামনেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের প্রাক্কালে দলগুলির কাছেই তুরূপের তাস 'সংরক্ষণ'। নির্বাচনের প্রাক্কালে ধাঙড় গোষ্ঠীর ভোটকে গুরুত্ব দিতে তাদের তপসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একনাথ শিন্ডের সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মারাত্মক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ ও বিধায়করা।

সচিবালয়ের তিন তলা থেকে ঝাঁপ দেন নরহরি জিরওয়াল, সাংসদ হেমন্ত সাভ্রা ও বিধায়ক কিরান লাহামাতে, হিরামন খোসকার, রাজেশ পাটিল। অন্যদিকে সেই 'সংরক্ষণ'কে সামনে রেখে একরোখা মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমেছেন মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা মনোজ জারাঙ্গে পাটিল। অনগ্রসর শ্রেণির শংসাপত্র, কিন্ডারগার্টেন থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জারাঙ্গে। 

রাজনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে এবার ফের সেই সংরক্ষণে ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার দাবি নিয়ে কেন্দ্রের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরিতে ৫০ শতাংশ ঊর্ধ্বসীমা সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার জন্য সরব হলেন পাওয়ার। ভোটের প্রাক্কালে পাওয়ারের দাবি প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা উদ্বেগকে কমাতে ও বৈষম্য দূর করতে কেন্দ্রের কাছে তার এই আবেদন। 

বর্ষীয়ান এনসিপি নেতার প্রশ্ন, বর্তমানে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। কিন্তু তামিলনাড়ুতে যদি ৭৮ শতাংশ (বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য কোটা) থাকতে পারে, তাহলে মহারাষ্ট্রে কেন ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকতে পারে না? পাওয়ার নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, সংরক্ষণে এই সীমারেখা অনগ্রসর শ্রেণী, তফসিলি জাতি (এসসি), তফসিলি উপজাতি (এসটি) এবং অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর অসংখ্য যোগ্য প্রার্থীদের সুযোগকে সীমিত করে দিচ্ছে। পাওয়ার বলেছেন, সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য ছিল নিম্ন বর্ণের সম্প্রদায়ের উন্নতি, কিন্তু সীমাবদ্ধতা বজায় রাখা সেই উদ্দেশ্যকে কমিয়ে দিচ্ছে। পাওয়ার আরও বলেন, সংরক্ষণ সীমা বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রকে একটি সাংবিধানিক সংশোধন আনতে হবে, আমরা সেই সংশোধনী সমর্থন করব। 

নির্বাচনকে সামনে রেখে পাওয়ারের বক্তব্য, বিরোধী ব্লক মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) নেতাদের মধ্যে আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা আগামী সপ্তাহে চলবে। আমি শুধুমাত্র নেতাদের পরামর্শ দেব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনা শেষ করে, শীঘ্র জনগণের কাছে পৌঁছনোর জন্য।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে সংরক্ষণ নিয়ে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরিতে তফসিলি জাতি-উপজাতিদের মধ্যে আলাদা শ্রেণি বিন্যাস করে আলাদা করে সংরক্ষণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে।