ইমামা খাতুন প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২২ এএম
তেল আবিব, ৪ অক্টোবর: ইরানের সাম্প্রতিক প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ক্ষয়ক্ষতি ও প্রভাব সম্পর্কে যেকোনও তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দখলদার ইসরাইলে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা জনসাধারণ ও মিডিয়ার জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইসরাইলের সেন্সরশিপের কারণে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দখলদার ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ৪০০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র রাজধানী তেল আবিবসহ একাধিক ইসরাইলি এলাকায় আঘাত হানে। এতে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাইছে না ইসরাইল। ইরানের হামলার ফুটেজে দেখা যায়, এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অনেকগুলো ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। এরপরই ইসরাইল বেশ কয়েকটি সামরিক অঞ্চল বন্ধ করে দেয় ও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় আঘাত করেছে সেই তথ্য গোপন রাখা হয়। ইরানের হামলা সম্পর্কে ইসরাইল দাবি করে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র তারা প্রতিহত করেছে, তবে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, অধিকৃত অঞ্চলের ভেতরে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে এবং সেগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে। ইরানের অন্যতম টার্গেট ছিল ইসরাইলের নেভাটিম বিমান ঘাঁটি যেখানে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান থাকে। এ বিমানঘাঁটিতে বড় রকমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইরানের সেনাবাহিনী বলছে, হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরুল্লাহ ও লেবাননের অসামরিক নাগরিকদের হত্যার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার ইসরাইলকে লক্ষ্যবস্তু করে তেহরান। ইরানি সেনার দাবি, তাদের ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই সফলভাবে ইসরাইলে আঘাত হেনেছে। ইসরাইল যদি ফের হামলার সাহস দেখায় তাহলে আরও ভয়াবহ পরিণতিক হুমকি দেওয়া হয়েছে তেল আবিবকে।