নিউ ইয়র্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর:  বাংলাদেশে সংস্কার ও ভোটার তালিকা হালনাগাদের ১৮ মাস পর জাতীয় নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের তিনি এই ইঙ্গিত দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক দফা দাবি ওঠে। আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে মৃত্যু হয় শত শত মানুষের। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। জুলাই-আগস্টের ওই বিপ্লবের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বৃহস্পতিবার সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান গুতেরেস। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। নির্বাচন হতে পারে তা বাস্তবায়নের ১৮ মাস পর।’ এদিকে একইদিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সময় ড. ইউনূসের সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। আর ইউনূস বলেন, বিগত সরকারের সময় হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চান তিনি। এরপর ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেনের সঙ্গেও দেখা হয় ইউনূসের।  বৈঠকে দুর্নীতি প্রতিরোধে সংস্থাটির অভিজ্ঞতা জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। এরপর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর করিম এ খান। এ সময় ড. ইউনূস জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। একই দিনে রাষ্ট্রসংঘের সাইডলাইনে ১৬টি ইভেন্টে অংশ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে দেখা করেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক শুফ, মার্কিন সেনেটর ডিক ডারবিন, রাষ্ট্রসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনার, আইএলও’র ডিরেক্টর জেনারেল ও ইউএনডিপির অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।