Sat, September 28, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়ে প্রতিমা বিসর্জনের রেওয়াজ বারুইপুর দমদমার সরদার পরিবারে


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:২১ এএম

বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়ে প্রতিমা বিসর্জনের রেওয়াজ বারুইপুর দমদমার সরদার পরিবারে

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,বারুইপুর : বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। দেবীর বোধন থেকে বিসর্জন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন ভাবে এই পুজো সম্পন্ন করা হয়। দুর্গাপুজো নিয়ে নানারকমের ঐতিহাসিক কাহিনি বর্ণিত থাকলেও শরৎকালের রামচন্দ্রের সৃষ্ট এই পুজোকে আমরা ‘অকালবোধন’ রূপে বলে থাকি।


দুর্গাপুজো পালনের ক্ষেত্রে বারুইপুর দমদমা সরদার বাড়ি পুজো প্রেমিকের নয়নের মণি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত সময় এগোচ্ছে এই পুজো তত তার রঙের প্রকাশ ঘটাচ্ছে। আভিজাত্য অহংকারে, সাবেকিয়ানার গরিমায় এই  বনেদি বাড়ির পুজো হয়ে উঠেছে প্রাচীন সভ্যতার এক একটি নিদর্শন।


দুর্গার মহিমা স্মরণীয় করে রাখতে পরিবারের সদস্যদের এই পূজা চালিয়ে যাচ্ছে সরদাররা। পুজোর সময় দেবীর মহিমা প্রচারের জন্য বিসর্জনের আগে দু'বার বন্দুক থেকে আকাশে গুলি ছোঁড়ার রেওয়াজ। সেই রীতি এখনও চলে আসছে। এই মুহূর্তে বন্দুক পরিষ্কার করার কাজ চলছে। পুজো দমদমার সরদার পরিবারের পাঁচ ভাই মিলে একটি মন্দির তৈরি করে।সেখানেই দুর্গামূর্তি স্থাপনও হয়। তখন থেকে ঘটা করে এই পুজো। বাংলার ১৩০৭ সাল থেকে এই পুজো শুরু হয়। পরিবারের সদস্যদের চাঁদায় তা চলছে।


পুজো শুরু করেছিলেন মনোহর সরদার। গ্রামের মানুষজন পুজোর কয়েকদিন আনন্দে মেতে ওঠেন। মন্দির সংস্কার করে সাজিয়ে তোলার কাজ হয়েছে। প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর পর প্রতিমা নির্মাণ শুরু হয় মন্দিরে।' এই পরিবারের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেন দেশে- বিদেশে। তবে সবাই বাড়ি আসেন পুজোর সময়।


নিরামিষ আহার শেষে নবমীর দিন আমিষ খান পরিবারের সদস্যরা। অলোক সরদার নামে পরিবারের এক সদস্য বলেন, 'মাকে রুপোর গয়না পরানো হয়। বংশপরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করছে এক কুমোর পরিবার।' পরিবারের আর এক সদস্য রাজন্য সরদার বলেন, 'বংশপরম্পরায় এই পুজো করে আসছি আমরা। দুর্গা খুব জাগ্রত। পরিবারের দেড়শো জন  সদস্য সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ি পুজোর এই আয়োজনে। অষ্টমীর দিন অঞ্জলির পর এক কুইন্টাল বাতাসা হরির লুট দেওয়া হয়। মানত পূরণের জন্য মহিলারা ১০০ দণ্ডি কাটেন মন্দিরে।'