Bipasha Chakraborty প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:৪৯ এএম
মহারাষ্ট্র, ২৬ সেপ্টেম্বর: বড়সড় নাশকতা! একটি জাল ওষুধের মামলা সামনে এসেছে। সেখানে বলা হচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলিতে যে অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ করা হয় তাকে ক্ষতিকারক ট্যালকম পাউডার আর স্টার্চের সংমিশ্রণ ছাড়া আর কিছু নয়। যা প্রাণঘাতী। গোটা ভারতজুড়েই নাকি এই কারবার চলছে। এই খবর সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যে ওষুধ মানুষের জীবন রক্ষার জন্য ব্যয় হয় সেখানে কিভাবে এই ধরনের প্রতারণা কারবার চলেছে, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রশ্নের মুখে। নাগপুর ড্রাগস মামলায় ওষুধের ভেজাল মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
জাল ওষুধের এমন ভয়ঙ্কর দুষ্ট চক্র দিনকয়েক আগে পর্যন্ত রমরমিয়ে চলছিল উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্যে। জানা গিয়েছে, হরিদ্বারের এক পশু-ওষুধের ল্যা বরেটরিতে তৈরি হত ওষুধের নামে গায়ে মাখার সস্তা পাউডার আর স্টার্চের এই বিষাক্ত মিশ্রণ। আর তার পর সেই ‘ওষুধ’ পাঠিয়ে দেওয়া হত একের পর এক রাজ্যে। হাওয়ালা চক্রের মাধ্যরমে মুম্বই থেকে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে আসত কোটি কোটি টাকা।
সব কিছু প্রকাশ্যে আসে নাগপুরের কলমেশ্বরের এক গ্রামীণ হাসপাতালে। নীতিন নামে এক ব্যক্তি রুটিন পরিদর্শনে গিয়ে বোঝেন অ্যান্টিবায়োটিকের নামে ভুয়ো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। তৎক্ষণাৎ ওষুধ সরবরাহকারী এবং বণ্টনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এফডিএ)। তার পরেই অভিযুক্ত সংস্থাগুলিকে তখনকার মতো কালো তালিকাভুক্ত করে দেওয়া হয়। তদন্ত শুরু হয়। সত্য সামনে আসে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে ১,২০০ পৃষ্ঠার বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় নাগপুর (গ্রামীণ) পুলিশ। তার পরই জানা যায়, হাসপাতালে ভুয়ো অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে গোটা মহারাষ্ট্র জুড়েই। এছাড়াও দেশের বহু রাজ্যে এই ওষুধের সরবরাহ চলত।