Sat, September 21, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

স্কুল পড়ুয়াদের শৃঙ্খলাপরায়ণ ও নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে বিশেষ উদ্যোগ সুন্দরবনের ক্যানিংয়ের একটি স্কুলের


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

স্কুল পড়ুয়াদের শৃঙ্খলাপরায়ণ ও নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে বিশেষ উদ্যোগ সুন্দরবনের ক্যানিংয়ের একটি স্কুলের

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর :বর্তমান সময়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকরা অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন যে সন্তানরা ঠিকমতো স্কুলে গেল কিনা? স্কুল থেকে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাইরে কোথাও ঘুরতে গেল কিনা? এই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটানোর পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়াদের আরও বেশি করে শৃঙ্খলা পরায়ণ করতে এবার এগিয়ে এলো সুন্দরবনের শতাব্দী প্রাচীন ক্যানিংয়ের ডেভিড সেশুন হাইস্কুল।


সম্প্রতি এই স্কুলে  রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেমের উদ্বোধন করেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস।সুন্দরবনের ক্যানিংয়ের সব থেকে প্রাচীন এই স্কুলের ভালোই নামডাক রয়েছে। মহকুমার মধ্যে এই স্কুল ভাবনা চিন্তা, পড়ুয়াদের সঠিক শিক্ষাদানের পাশাপাশি তাঁদেরকে খেলাধুলা বা সংস্কৃতিতে এগিয়ে দিয়েছে বরাবরই।


প্রায় আড়াই হাজার পড়ুয়া সম্বলিত এই স্কুলে যাতে কোন পড়ুয়ার সাথে অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজরদারি চালাতে যেমন ৬৪ টি সিসি টিভি ক্যামেরা দিয়ে গোটা স্কুল চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে, তেমনি এবার পড়ুয়ারা স্কুলে আসছে কিনা, কখন আসছে, স্কুল থেকে কখন বেরিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে সঠিক সময়ে বার্তা পৌঁছে যাবে অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে।

এই ধরনের প্রযুক্তি আগে ও বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা হলেও তার তুলনায় এই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম অনেক বেশি উন্নত বলেই দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার ভকতের। 


ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলের মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করলেই এই প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয় ভাবেই শনাক্ত করতে পারবে ঐ পড়ুয়াকে। পরিচয় পত্র কোথাও দেখানো বা ছোঁয়ানোর প্রয়োজন হবে না এবং সাথে সাথে যেমন স্কুলের লকবুকে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে,তেমনি তাদের পরিবারের কাছেও মেসেজ পৌঁছে যাবে যে সন্তান স্কুলে প্রবেশ করেছে।


একই ভাবে স্কুল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও মোবাইল মারফৎ বার্তা পেয়ে যাবেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের সাথে বৈঠকের সময় অনেক অভিভাবকই সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন। তখন থেকেই এই ধরনের কিছু প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেছিল স্কুল।পুনরায় অভিভাবকদের সাথে বৈঠক করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রযুক্তি স্কুলে স্থাপন করতে অভিভাবকরাই খরচের সিংহভাগ বহন করেছেন।


সরকারি স্কুলে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছাত্র ছাত্রীদের আরও বেশি করে নিয়মানুবর্তী গড়ে তুলবে বলেই দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের । আগামী দিনে এই স্কুলে আরও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানালেন তাঁরা।