Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

Breaking: মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন জুনিয়র আন্দোলনকারি চিকিৎসকেরা


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:০৮ এএম

Breaking: মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন জুনিয়র আন্দোলনকারি চিকিৎসকেরা

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন জুনিয়র আন্দোলনকারি চিকিৎসকেরা। বৈঠক হবে কালীঘাটের বাসভবনে। শনিবারের পর এই নিয়ে তৃতীয়বার কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যেই ধরনাস্থলে এসে পৌঁছেছে বাস।

প্রথম নবান্ন তার পর শনিবার কালীঘাটে বৈঠক ভেস্তে যায়। এই নিয়ে তৃতীয়বার বৈঠক হতে চলেছে। বৈঠক হওয়ার কথা বিকেল ৫ টায়। তবে সরকারের তরফে পৌনে ৫ টার মধ্যে তাদের কালীঘাটে পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে। বিকেল ৩.৫৩ মিনিট নাগাদ  চিঠির জবাব দিয়ে মুখ্যসচিবের ইমেলের চিঠির জবাব দেন জুনিয়র চিকিৎসককেরা।  


১৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি, তার আগে সরকারের তরফ থেকে আন্দোলনকারি চিকিৎসকদের ডেকে পাঠানো হয়।  সকালেই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ চিকিৎসকদের উদ্দেশে  ই মেল করেন। তবে সেই মেলে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়, লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োগ্রাফি করার অনুমতি নেই। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, শনিবার কালীঘাটে বৈঠকের দিন যারা এসেছিলেন, সেই চিকিৎসকদের আজ আসার অনুমতি রয়েছে। 

পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এটাই তাদের তরফ থেকে শেষবারে চেষ্টা।  


মেলে স্পষ্ট বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, গত মঙ্গলবার অর্থ্যাৎ ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। নাগরিক হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করা আমাদের কর্তব্য। তাই এটা আপনাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক করানোর জন্য আমাদের তরফে পঞ্চম এবং শেষতম চেষ্টা। খোলামনে বৈঠকের জন্য কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বাড়িতে আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি,  সুচিন্তার জয় হবেই। চিঠিতে দুপক্ষের আলোচনার কার্যবিবরণী তুলে দেওয়া হবে। 


নির্যাতিতার বাবা ও মায়ের পক্ষ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর সদর্থক চিন্তার প্রশংসা করে আলোচনায় নিয়ে আশাবাদি তাঁরা।  


এদিকে সূত্রের খবর, ভিডিয়োগ্রাফির দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকেরা। 


গোটা রাজ্যের চোখ এখন এই বৈঠকের দিকে। গত ৯ আগস্ট আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে উত্তাল হয় গোটা দেশ সহ রাজ্য। প্রথমে কলকাতা পুলিশের হাতে থাকলেও পরে সিবিআইয়ের হাতে মামলা হস্তান্তর করা হয়। আপাতত সিবিআই এই মামলার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়, দুর্নীতি ও প্রমাণ লোপাটের জন্য আরজি কর কাণ্ডের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে।