Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

পড়ুয়াদের প্রযুক্তিমুখী পাঠ দিতে তৈরি হল এআই ল্যাব


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৩৫ এএম

পড়ুয়াদের প্রযুক্তিমুখী পাঠ দিতে তৈরি হল এআই ল্যাব
প্রতীকী ছবি

পুবের কলম প্রতিবেদক: সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিজ্ঞানের ব্যবহারের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অনেক জটিল সমস্যার সমাধানও সম্ভব হচ্ছে মুহূর্তের মধ্যেই। বিজ্ঞান এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে পড়ুয়াদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল কলকাতার ই-লার্নিং প্রতিষ্ঠান এডুডাইম এডুকেশন। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারের উপযোগী রোবটিক্স এবং এআই ল্যাব গড়ে তুলে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের প্রযুক্তিসম্পন্ন করে তোলাই মূল লক্ষ্য বলেও জানিয়েছে এডুডাইম এডুকেশন।


কলকাতার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এবার বাঁকুড়ার এক স্কুলে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। প্রথম ভারতীয় মহিলা মহাকাশচারী কল্পনা চাওলার নামে এই ল্যাবের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কল্পনা এআই অ্যান্ড রোবটিক্স ইনোভেশন ল্যাব’।


বাঁকুড়ার দমোদরপুরে অবস্থিত ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ইতিমধ্যেই ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন মডেল তৈরি করেছে, যা জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করবে। প্রতি মুহূর্তে বদলে চলা প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ছাত্রছাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে-কথা মাথায় রেখেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে প্রাথমিক স্কুল থেকেই ছাত্রছাত্রীদের পরিচয় ঘটাতে স্কুলটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সরস্বতী দেবী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে সিলেবাস ভিত্তিক পাঠদানের পাশাপাশি বিদেশি ভাষা শিক্ষার কোর্স, সাঁতার প্রশিক্ষণ ছাড়াও নতুন রোবটিক্স এবং এআই ল্যাব-এর সুবিধার পরিধি আরও বাড়িয়ে তুলেছে।


এডুডাইমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিও শুভময় বক্সী বলেন, ‘আইআইটি খড়গপুরে পড়ার সময় আমরা হাতে-কলমে অনেক কাজ করেছি। পরবর্তী সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ করতে এসে মনে হয়েছে, আমরা যদি প্রথম থেকেই হাতে-কলমে শিক্ষার উপরে জোর দিতে পারি, তাহলে তাতে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা হবে।’


তিনি আরও জানান, এআই ব্যবহার করে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বইয়ে পড়া বিষয় দিয়ে মডেল তৈরি করতে পেরে স্কুল পড়ুয়ারা খুশি। স্কুল জীবনের শুরু থেকে হাতে-কলমে এআই ব্যবহার করতে পারে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কিংবা পরবর্তী কর্মজীবনে প্রযুক্তির সঙ্গে যাতে মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান শুভময় বক্সী।