Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

ডাক্তারদের দীর্ঘ কর্মবিরতিতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু যুবকের


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:০৩ এএম

ডাক্তারদের দীর্ঘ কর্মবিরতিতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু যুবকের
মৃত যুবক বিক্রম ভট্টাচার্য

পুবের কলম প্রতিবেদক: আর জি কর হাসপাতালে এসে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন হুগলির এক যুবক। শুক্রবার বিনা চিকিৎসায় আর জি করে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। সূত্রের খবর, বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয় যুবক। মৃত বিক্রম ভট্টাচার্য কোন্নগরের বাসিন্দা ছিলেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দুপুর ১২টার সময় আর জি করে আনা হয় বিক্রমকে। তারপর প্রায় তিন ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিল আহত যুবক। হাসপাতালে থেকে জানানো হয়, চিকিৎসক নেই, তাই পরিষেবা দেওয়া যাবে না। সঠিক সময় চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয় যুবকের। শ্রীরামপুর থেকে রেফার করা হয় আর জি কর হাসপাতালে।


কিন্তু আর জি করে নিয়ে এলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় চিকিৎসক নেই পরিষেবা মিলবে না। রোগীর পরিবারকে বলা হয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তারা জানান, বেসরকারি হাসপাতালে অনেক খরচ হবে। সেই টাকা তাদের কাছে নেই। বিনা চিকিৎসায় তিন ঘণ্টা পড়ে থাকার পর মৃত্যু কোলে ঢোলে পড়েন আহত ওই যুবক। 


‘পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চলুক’, আর্জি করেন মৃতের পরিবার। তবুও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা।  এখনও বহু পড়ুয়া কাজে যোগ দেননি। জানা দিয়েছে, হুগলির কোন্নগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ২৪ বছর বয়সি ওই যুবক। একটা নয়, দুই পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় লরি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুরের হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। ঘড়িতে তখন ৯টা। শুক্রবার সকালে ওই যুবককে নিয়ে আর জি করে পৌঁছন পরিবারের লোকেরা।


পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, একবার আউটডোর আর এক ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। কিন্তু ভর্তি নেওয়া তো দূর, সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছিল রোগীকে। কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। এরপর হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, ‘ডাক্তার নেই। রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।’ ততক্ষণে প্রবল রক্ত ক্ষরণে ঝিমিয়ে পড়েছেন ওই যুবক। শেষপর্যন্ত বেলা ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চাননি।


তবে হাসপাতাল চত্বরে আন্দোলনকারী অনিকেত মাহাতো বলেন, চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। এমআরআই করতে নিয়ে যাওয়ার সময়ই ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।


এ দিকে আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার ধরনায় বসতে চান আনিস খানের বাবা সালেম খান। কলকাতা হাইকোর্ট মামলাকারী সালেম খান জানান, ৭ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজর নির্দেশ, দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৩০০ জন লোককে সঙ্গে নিয়ে ধরনায় বসতে পারবেন সালেম খান। শ্যামবাজার মোড়ে ধরনায় বসার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।