Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

গোরক্ষকদের হাতে নিহত সাবিরের স্ত্রীকে নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৬:৫৯ এএম

গোরক্ষকদের হাতে নিহত সাবিরের স্ত্রীকে নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
নবান্নে শাকিলা সরদার মল্লিককে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পুবের কলম প্রতিবেদক: হরিয়ানাতে বাংলার পরিযায়ী ফেরিওয়ালা সাবির মল্লিককে পিটিয়ে খুন করেছিল গো-রক্ষকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিযায়ী ফেরিওয়ালা সাবির মল্লিকের স্ত্রী শাকিলা সরদার মল্লিককে বুধবার নিয়োগপত্র দিল রাজ্য সরকার। বুধবার সাবিরের স্ত্রী শাকিলা সরদার মল্লিক চার বছরের কন্যা-সহ নবান্ন এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। নিহতের স্ত্রীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাসন্তীতে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে এক বছরের জন্য অ্যাটেনডেন্ট এবং পরে গ্রুপ ডি পদে শাকিলাকে নিয়োগ করা হল।


গণপিটুনিতে সাবির মল্লিককে খুন হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল রাজ্যের শাসক দল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যসভার সংসদ এবং পরিযায়ী ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম-সহ অন্যরা দেখা করতে গিয়েছিলেন নিহতের পরিবারের সঙ্গে। সেই সময় নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বুধবার শাকিলাকে নবান্নে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী।


এ দিন শাকিলা তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান। মুখ্যমন্ত্রী তার গায়ে রাখেন ‘মমতার হাত’। তারপর যখন নিয়োগপত্র তুলে দেন শাকিলার হাতে, সেই সময় নিহতের শিশু কন্যার চোখে ছিল বিস্ময়। এ দিন শিশুকন্যার সঙ্গে কিছুটা সময়ও কাটান মমতা।


তার ঘরের অ্যাকুরিয়ামের সামনে দাঁড় করান শিশুকন্যাটিকে। এই মুহূর্তগুলোই বুঝিয়ে দেয় মুখ্যমন্ত্রী শুধু রাজধর্মই পালন করেন না, তিনি মানবধর্মও পালন করেন আন্তরিকতার সঙ্গে।


বছর ছাব্বিশের সাবির হরিয়ানায় ফেরির কাজ করতেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার বাসিন্দা হলেও বিয়ের পর স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে নিয়ে বাসন্তীতে থাকতেন সাবির। কাজের জন্যই হরিয়ানা যান। সেখান থেকে বছরে একবার মাত্র বাড়িতে আসতেন তিনি। ২৭ আগস্ট হরিয়ানার চরখি দাদরী জেলায় কয়েকজন তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করে। অভিযোগ ছিল সাবির গো-মাংস খেয়েছেন। সেই সন্দেহে তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়।


যদিও হরিয়ানার কোথাও গো-মাংস পাওয়া যায় না। তাই প্রশ্ন উঠেছে, সম্মানীয় গো-রক্ষকরা কী করে জানল যে, সাবির মল্লিক গরুর গোশ্ত্ খেয়েছে! কিন্তু এসব যুক্তি-তর্ক গেরুয়া বাহিনীর জন্য নয়।


বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যগুলিতে গেরুয়া সংগঠনগুলির ধারণাই হচ্ছে প্রমাণ। আর বোম্বে হাইকোর্ট ঘোষণা করেছে, গরুর গোশ্ত্ খাওয়া কোনও অপরাধের মধ্যে পড়ে না।