লখনউ, ৩ সেপ্টেম্বর: আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। এই ঘটনায় বার বার নারী নির্যাতনের সুর তুলে বাংলার সরকারকে কোণঠাসা করতে সরব হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। কিন্তু এই সবের মধ্যেও ফের উত্তরপ্রদেশ সরকারের ব্যর্থতার চিত্র সামনে এল। যোগী রাজ্যে নাবালিকাকে সম্মান রক্ষার্থে খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নাবালিকা মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি তার পরিবার। সম্মান রক্ষার্থে মেয়ের গলা কেটে খুনের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, নিজের মেয়ের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দিলেন বাবা। পুলিশ এই ভয়ঙ্কর অপরাধের ঘটনায় মেয়ের বাবাকে গ্রেফতার করেছে। বাহারাইচ জেলার মোতিপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রামের ঘটনা। 
এএসপি গ্রামীণ পাবিত মোহন ত্রিপাঠী জানান,  অভিযুক্তের নাম নঈম খান। মোতিপুর জেলার মাতেহি গ্রামে সোমবার নিজের ১৭ বছরের মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুনের অভিযোগে নঈমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়ের গলা কেটে হত্যার পর তার ধড় থেকে মুণ্ডু, হাত, পা আলাদা করে দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হত্যাকাণ্ডে পর মেয়ের টুকরো করা দেহের পাশেই অনেকক্ষণ বসেছিলেন তার বাবা। 
এএসপি ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ওই গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে। দুবার বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিল সে। মেয়ের এই কর্মকাণ্ড মেনে নিতে পারেননি বাবা, রাগে উন্মত্ত হয়ে নৃশংসভাবে খুন করেন। 
পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছেন, মেয়ের স্বভাব নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তিনি। তার এই মেয়ের জন্য তার অন্যান্য সন্তানের ওপরেও কুপ্রভাব পড়েছিল। দুবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ফের পালানোর সুযোগ খুঁজছিল। সেই কারণেই এই খুন করেছেন তিনি। 
পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।