Shamima Ahasana প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:১৪ এএম
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ২২–২৫ আগস্ট একটানা ১৬ বছরের নাবালিকাকে
আটক করে রেখে ধর্ষণ করে অঙ্কিত বর্মা (২৫)। সঙ্গ দেয় অঙ্কিতের ভাইও। এরপর যখন ওই নাবালিকা
অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন গাজিয়াবাদে তাকে তার বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যায় অঙ্কিত। এই ঘটনায়
মামলা দায়ের করে ওই নাবালিকার কাকা। পুলিশ মামলা রুজু করার পরও তদন্তে গড়িমসি করে। এরপর অভিযুক্তকে আটক
করে পুলিশ। পুলিশ অপরাধীকে নির্দেশ দেয়, নাবালিকাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে
নেওয়ার জন্য। এবং ওই নাবালিকাকে জোর করে মামলা তুলে নিতে বলা হয়।
পুলিশের এই কীর্তি
একটি সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করে দিলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন সেখানকার এসপি দীনেশ
সিং। দীনেশ সিং বলেন, অরুণ প্রতাপ সিং নামে ওই পুলিশ আধিকারিক ও মনোজ কুমার নামে আরও
এক পুলিশকর্মীকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, কিভাবে ধর্ষণের শিকার নাবালিকাকে টাকার বিনিময়ে
মামলা তুলে নিতে বলল পুলিশ? কেনই বা যোগী রাজ্যে এভাবে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে?
'বুলডোজার জাস্টিস', 'গোলি মারো'র প্রবক্তা যোগী আদিত্যনাথ কিভাবে নিজের রাজ্যে এধরণের
ঘটনা মেনে নিচ্ছেন?
ওই নাবালিকার কাকা জানান, তাই ভাইকে ২০১৮ সালে খুন করা হয়েছিল।
স্বামীর এই পরিণতি দেখে আত্মহত্যা করেন স্ত্রীও। ফলে অনাথ ভাইপো ও ভাইঝির দেখভাল করতেন
তিনিই। ওই নাবালিকার পক্ষ থেকে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন তার কাকা।