Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

Breaking: বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী বিল পেশ রাজ্য সরকারের


Bipasha Chakraborty   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:০৩ এএম

Breaking: বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী বিল পেশ রাজ্য সরকারের

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী বিল পেশ রাজ্য সরকারের। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  অপরাজিতা  উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড একটি ঐতিহাসিক বিল। এই বিলে দোষীদের কঠোর শাস্তির দেওয়ার কথা আমি বলেছি। ধর্ষণ মানবতার বিরুদ্ধে একটি অভিশাপ। যে সমাজে মেয়েরা ভালো থাকে না, সেই সমাজ কোনওদিন ভালো থাকতে পারে না। এই বিল মেয়েদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের বিল। মেয়েদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে ৩ সেপ্টেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন,  নির্যাতিতা মেয়েটির জন্য আমি শোকজ্ঞাপন করছি। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি পরিবারের কাছে রবিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। পুলিশকে বলেছিলাম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে আবেদন জানাতে। কিন্তু হাইকোর্ট এই তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে দিয়ে দিল। আমার সেখানে কোনও আপত্তি নেই, কারুই থাকার কথা নয়। দোষীদের ফাঁসি দিক সিবিআই। 


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপালকে বলুন এই বিলে সই করে দিতে। যদি বিলে সই করার পরেও কার্যকর না হয়, তাহলে তার দায়িত্ব আমাদের। বর্তমানে রাজ্যে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট রয়েছে। কামদুনির জন্য আমরা ফাঁসি চেয়েছিলাম। দেশের মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে আমাদের স্থান তৃতীয়। মুখ্যমন্ত্রী ফের স্পষ্ট গলায় বলেন, দেশে ধর্ষণের সাজা খুব কম। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সমাজ সংস্কারের প্রয়োজন। এদিন ধর্ষণ বিরোধী সমাজ গড়ার জন্য দল মত নির্বিশেষে সকলকে একজোট হওয়ার ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিন  মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য, প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার সকলের আছে। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  মহিলাদের সুরক্ষায়  আমরা  ৪৯টি মহিলা থানা করেছি। সিপিএম বড় বড় কথা বলছে, ওদের ৩৪ বছরের শাসনে কি হয়েছে? আজ এত কথা বলছে তারা।

এদিন তিনি বলেন, বাংলাকে বদনামের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমাকে অনেক কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা কোনওদিন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করিনি। যদি আক্রমণ করতাম তাহলে কোথায় যেতেন?  মুখ্যমন্ত্রী এদিন তার বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগের দাবি তোলেন।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা ক্রমাগত বাংলাকে নিয়ে কুৎসা করে চলেছেন, তাদের বলব এই আরজি কর নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে তার গুরুত্বকে আপনারা কমিয়ে দিচ্ছেন।

আমরা চেয়েছিলাম কেন্দ্র সরকার এই আইন আনুন। সারা দেশের জাতির লজ্জা নরেন্দ্র মোদি। 

রাজ্যের আইন আনার অধিকার আছে। সংবিধান সেই অধিকার দিয়েছে। নতুন বিলে তিনটে তাৎপর্য আছে। বর্ধিত শাস্তি, ন্যায় বিচার, দ্রুত শাস্তি।


মুখ্যমন্ত্রী খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, উত্তরপ্রদেশে ৭ লক্ষ নারী নির্যাতনে ঘটনা ঘটেছে। গুজরাতে ৫ লক্ষ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের রাজ্যে নারী নির্যাতনের বিচার হচ্ছে।

মোদির উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাকে সম্মান করুন,কুৎসা করবেন না। আপনি (মোদি) নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। আমি প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি  করছি।