Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন
logo

বাংলাদেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা


ইমামা খাতুন   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:০৫ এএম

বাংলাদেশে চিকিৎসকদের   ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর: ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপদ কর্মস্থলসহ ৪ দফা দাবিতে রবিবার দুপুর থেকে সারা দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক গেটে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. আবদুল আহাদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।


তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের চিকিৎসকরা নিজের জীবন বাজি রেখে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়েছেন। এমনকি নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন। আমরা বাংলাদেশের ডাক্তাররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একটা অংশ। গতকাল নিউরোসার্জারির অপারেশন থিয়েটার থেকে রোগীর লোক এক ডাক্তারকে বের করে এনে মারধর করেছে। শুধু তাই নয়, মারতে মারতে পরিচালকের রুমে নিয়ে গিয়েছে।’  


ডা. আহাদ বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে আমরা দফায় দফায় বৈঠক করি। বৈঠকে দু’টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে এবং আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। আমরা যারা জরুরি বিভাগে থাকি তাদের নিরাপত্তার জন্য আর্মি-পুলিশসহ অন্যান্য ফোর্স এখানে থাকবে। কিন্তু আমাদের প্রশাসন সেটা দিতে ব্যর্থ।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত রাতে আরও দুই বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। বাইরের এক গ্রুপ এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। 


সেই গ্রুপ চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে আসে। তখন বিপক্ষ গ্রুপ ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসা নিতে আসা গ্রুপকে আবার মারধর করে। যেখানে রোগীও নিরাপদ না, সেখানে চিকিৎসকরা কেমন করে নিরাপদ থাকবেন? কিছুক্ষণ পর জরুরি বিভাগের ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারে এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সেখানে দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সদের ওপর হামলা হয়, ইমার্জেন্সিতে ভাঙচুর চলে। 


আমরা দেখতে পাই ডাক্তার-রোগী কেউ নিরাপদ নয়।’ ডা. আহাদ বলেন, হাসপাতালের পরিচালকের অনুরোধে রাত ১১টার পরে আমরা কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাই। রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কাজ করি। কিন্তু কোনও সিকিউরিটি আমরা দেখতে পাইনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নিজের নিরাপত্তার জন্য কর্মবিরতি করছি। সারা বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল বন্ধ থাকবে।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা চলবে, পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে অতি দ্রুত জরুরি বিভাগ চালু করা হবে।